জিয়াবুল হক : টেকনাফ হ্নীলায় কোটি টাকার ইয়াবার চালান খালাসকালে স্বশস্ত্র গ্রুপে লুটপাট চালিয়ে ছিনতাই করেছে। এই ঘটনায় চালান খালাসকারী একব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ গৃহবধুকে আটক করেছে।
সুত্রে জানা যায়, গতকাল ২৯ নভেম্বর ভোররাতে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী রাস্তার মাথা সংলগ্ন নাফনদীর চেয়ারম্যান প্রজেক্ট সংলগ্ন পয়েন্ট দিয়ে বিভিন্ন ইয়াবা গডফাদারদের নিকট চালান সরবরাহকারী রঙ্গিখালী লামার পাড়ার ছৈয়দ আহমদ প্রকাশ বাইগ্যা খলিফার পুত্র বশির আহমদের বড় একটি চালান খালাসের দায়িত্ব নেয় স্থানীয় কবির আহমদের পুত্র আবু বক্কর গং। একই এলাকার দিল মোহাম্মদ জিন্নাহ প্রকাশ লাদেন জিন্নাহর পুত্র সাদেক হোছনের নেতৃত্বে স্থানীয় গাজীপাড়ার আলোচিত একটি স্বশস্ত্র ভাড়াটে গ্রুপ এই বিরাট ইয়াবার চালানটি লুট করার পরিকল্পনা নেয়। তাদের সিদ্বান্তমতে এই ৫লাখ ইয়াবার চালানটি ২টি বস্তায় করে আনার সময় ছিনতাইকারী চক্র হানা দেয়। এই চালান নিয়ে যাওয়ার সময় ঠিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নাটের গুরু আবু বক্করের পায়ে এক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে ৩লাখের অধিক ইয়াবার চালানটি ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয় নিয়ে সকালে জনসাধারণের মধ্যে রসাত্নক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এই খবর পেয়ে দুপুর পৌনে ১২টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান সর্ঙ্গীয় পুলিশী টহলদল নিয়ে গুলিবিদ্ধ আবু বক্করের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০হাজার পিস ইয়াবা বড়িসহ স্ত্রী মিনারা বেগম (৩০)কে আটক করে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলা দায়ের করে ইয়াবাসহ ধৃত মহিলাকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
এইদিকে এই মাদকের চালান উত্তোলন, খালাস, ছিনতাই ও মালিক পক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পৃথক দালালের মাধ্যমে মোটাংকের টাকার মিশন নিয়ে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন যাবত চোরাকারবারী ঐ বশির আহমদ চোরাই ব্যবসার আড়ালে বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবার চালান খালাস করে তালিকাভূক্ত গডফাদারদের নিকট সরবরাহ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই ব্যাপারে ইয়াবা চালানের মালিক বশির আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, এই ব্যাপারে আটক গৃহবধুকে প্রধান ও জড়িতদের পলাতক আসামী দেখিয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে সীমান্তে এই মাদকের চালান অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে স্থানীয় নাফনদী নির্ভর জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করা হলেও মাদক সম্রাটদের অপতৎপরতা বন্ধ না হওয়ায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।