নিউজ ডেস্ক::জীবননগরে বৈদ্যুতিক তারের কারণে প্রতিনিয়িত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে মানুষের প্রাণহানীও ঘটছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। এ যেন কেউ দেখার নেই!
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড টিএন্ডটিপাড়ায় পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই গড়ে উঠেছে একটি ভবন। সেখানে দেখা গেছে, ঘরের মধ্যে দিয়েই রয়েছে বৈদ্যুতিক পিলার ও বিদ্যুতের মেইন লাইন। এতে করে যে কোন সময় ঘটতে পারে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড়ির মালিক অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা কোন কর্ণপাত করে না। অবশেষে ঘরের মধ্যে থেকে বৈদ্যুতিক পিলার সরানোর জন্য কোর্টে একটি আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌছালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষরা আমাকে ডেকে বলেন, পিলার সরাতে হলে ৩০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে, টাকা জমা দিলে পিলার সরানো হবে। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় পিলার কিনতে পারিনি। যার ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতিনিয়িত চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জীবননগর শাখার এজিএম মনিরুল ইসলাম জানান, পৌরসভার টিএন্ডটি পাড়ায় বৈদ্যুতিক লাইনের যে সমস্য বলা হচ্ছে, এটি আমি জানি এবং আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পিলারটা সরিয়ে যে স্থানে দিবো তার কোন জায়গা নেই, তাছাড়া বাড়ির মালিক যেভাবে বাড়ি তৈরি করেছে এই বাড়ির অনুমোদন দিলো কিভাবে পৌরসভা, না আদৌও পৌরসভা থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি তা আমি জানি না। আমার ধারণা পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিলে এ বাড়ি তৈরি করার জন্য অনুমোদন দিতো না। কারণ বৈদ্যুতিক পিলারের মাথার উপর ওই বাড়ির মালিক সানসেন্ট তৈরি করেছে। তবে বিষয়টি আমরা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবো।