স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের সিও সংস্থার আয়োজনে জিংক সম্মৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ জাতের ধানের মাঠ দিবস গতকাল রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ও সিও সংস্থার আয়োজনে সদর উপজেলার রাউতাইল ও খালিমপুরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জিংক সম্মৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ জাতের ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা রাখেন ভারপ্রাপ্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোহরাব হোসেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মোঃ সামছুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন ,সিও সংস্থার প্রোজেক্ট মনিরুল ইসলাম,ও স্থানীয় কৃষকগন।ব্রী ৭৪ ধানে ৫ থেকে ৬ শতাংশ পরিমান জিংক থাকে। মানুষের শরীরে জিংকের একটি ঘাটতি থাকে। এ ধানের ভাত খেলে এ ঘাটতি পূরন হয়।
জিংকের অভাবে বাচ্চারা বেটে, কালা, বোবা ও স্বরণশক্তি লোপ পায়। আর এ ধানের ভাত খেলে বাচ্চাদের জিংকের ঘাটতি পূরন হয়ে যায়। এ ধান চাষে সেচ ও সারের পরিমান কম লাগে পাশাপাশি খেতে ভাল লাগে।পরে কৃষক ও কৃষানীদের নিয়ে এ ধরনের গুনাগুন সম্পর্কে স্থানীয় কৃষক মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ৩শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বোরো মৌসুমের জিংকসমৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ জাতের ধানের ক্রপ কাটিং করা হয় এবং শুকনো অবস্থায় ৭.৮২ টন/হেক্টর ফলন রেকর্ড করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রদর্শণী কৃষাণ-কৃষাণীরা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বক্তারা বলেন যে, বাংলাদেশের আজকাল মা ও শিশুদের মধ্যে জিংকের ব্যাপক অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর অভাবে শিশুদের স¦াভাবিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়, বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি যেমন-ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পরিণামে শিশুদের অকাল মৃত্যুসহ বুদ্ধিমত্তা হ্্রাসের ঝুঁকি বাড়ায় যা স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি বিনির্মাণে বিরাট অন্তরায়। জিংকের অভাব দূর করার ক্ষেত্রে এই জাতটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের পুষ্টির অভাবে ভোগা মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির অবস্থা উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে উপস্থিত সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।