স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগরে নিহতদের মধ্যে ঝিনাইদহের পলাতক জঙ্গির অন্তত দু’জন রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের ছবি নিয়ে মরদেহ গুলো শনাক্ত করতে এরই মধ্যে ওই জঙ্গি আস্তানায় কাজ শুরু করেছে সিআইডির (অপরাধ তদন্ত বিভাগ)ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা। শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে সিআইডি ইউনিটের সঙ্গে অবস্থান করেন ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও জেলা রিজার্ভ ফোর্স।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মুজাহিদুল ইসলাম জানান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দেওয়া তথ্যমতে শিবনগরের ওই বাড়িতে ঝিনাইদহের আস্তানা থেকে পলাতক জঙ্গিদের মধ্যে অন্তত দু’জন থাকতে পারে। তাই, তাদের ছবি নিয়ে জঙ্গি আবুর সঙ্গে আত্মঘাতী বোমায় নিহত অপর তিনজনের মরদেহ শনাক্তে বর্তমানে কাজ করছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা। তবে, শনাক্তকরণের প্রক্রিয়াটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাবে না বলেও জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মুজাহিদুল ইসলাম।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ঝিনাইদহের পোড়াহাটি উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানো হয়। ওই আস্তানায় বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম ছাড়াও বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায়। কিন্তু, অভিযানের আগেই জঙ্গিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমদ এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাড়িটিতে জঙ্গি আস্তানা ছিলো। সেখানে ৫/৬ জন জঙ্গি নিয়মিত আসা যাওয়া করতো।ওই আস্তানায় ২০টি কনটেইনারে ভর্তি করে রাখা এসব রাসায়নিক পদার্থ ঠিক কি এবং কি কাজে ব্যবহার হতো-তা জানতে এগুলো পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘সাউথ প’। অভিযানের পর বাড়িটি থেকে বিপুল পরিমাণ হাত বোমা, ডেটোনেটর, একটি পিস্তল, তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট, একটি প্রেসার কুকার বোম্ব, ২০টি রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার উদ্ধার করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।