ইমাম বিমান, ঝালকাঠি থেকে :
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলাধীন নদী রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপে উপজেলার জাঙ্গালিয়া নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু। ২ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মো: সোহাগ হাওলাদারের নেতৃত্বে নদী রক্ষায় নদীর তীর ভরাট করে অবৈধ ভাবে নির্মান করা স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করেন। নদী রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিনেই নদী দধল করে গড়ে ওঠা অবৈধ পাকা আবাসিক ও বানিজ্যিক ভবন সহ মোট ২৯ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযানের শুরুতে উপজেলা প্রশাসনের নিযুক্ত শ্রমিকরা স্থাপনা ভাঙ্গার কাজে ব্যবহারিত উপকরন (হাতুরি) দিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গতে শুরু করে। উপজেলা প্রশাসনের শুরু হওয়ায় অভিযান দেখে স্থানীয় দখলদাররা তাদের স্থাপনা স্ব-স্ব উদ্যোগে সরিয়ে নিতে শুরু করে। এ বিষয় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে উপস্থিত স্থানীয়রা বলেন, এত সল্প সংখ্যক জনবল ও হাতুরি দিয়ে পাকা ইমারত উচ্ছেদ হয় কি করে। এজন্য প্রয়োজন আধুনিক যন্ত্রপাতি। আর আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গার কাজ করা হলে এ কাজে দ্রুত সফলতা আসতো বলে তারা মনে করছেন। এবং এ বিষয় তারা শংকা প্রকাশ করেও বলেছেন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার না করা হলে উচ্ছেদ অভিযান মুখ থুবরে পড়তে পারে।
এ বিষয় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মো: সোহাগ হাওলাদার জানান, নদীর দুই পারে প্রথম পর্যায়ে ৪শত মিটারের মধ্যে এই ২৯ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে এবং ধারাবাহিক ভাবে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে নদী উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে সেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া ইতিবাচক হিসাবে দেখছে প্রশাসন। আর এ কারনে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অনেককেই সময় বেধে দেয়া হয়েছে। নদীমাতৃক এ উপজেলা ব্যাপী অসংখ্য অবৈধ দখলদারের হাত থেকে নদী গুলোকে মুক্ত করার জন্য এ উদ্যোগ চলতেই থাকবে। তিনি আরও জানান, আজকে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার ফলে নদীর দু’পারে প্রায় তিন একর নদীর জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়ন পর্যায়ে গেলে নদীটি প্রান ফিরে পাবে। এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।