ইমাম বিমান, ঝালকাঠি থেকে :
ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নস্থ হোসেনপুর গ্রামে গভীর রাতে ডাকতি করতে গিয়ে স্থানীয় জনগনের ধাওয়ায় সরঞ্জাম ফেলে ডাকত দলের পালায়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানি ১২টার সময় হোসেনপুর গ্রামে ইব্রাহিম হাওলাদারের বাড়ী ডাকতি চেষ্টাকালে গ্রামবাসীর ধাওয়ায় ডাকতদল তাদের ব্যবহারিত সরঞ্জাম ও স্যান্ডেল ফেলে পালিয়ে গেছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
এ বিষয় ইব্রাহিম হাওলাদার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গত ২৮ জানুয়ারী দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার সময় হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা একাধিক মামলার আসামী খসরু হাওলাদার ও বাচ্চু হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল লোক ইব্রাহিম হাওলাদারের বাড়ীতে আসে। বিষয়টি বাড়ীর ভিতর থেকে ইব্রাহিম হাওলাদারের চাচাতো ভাই রব হাওলাদারের বোন রাতের আধারে বাড়ীর ভিতরে অনেক লোক আসছে টের পেয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বরিশালে থাকা তার ভাই আলমগীর ও একই গ্রামের আত্মীয় কবির হোসেনকে জানায়। বিষয়টি কবির হোসেন এলাকাবাসীদের জানালে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইব্রাহিমদের বাড়ীর দিকে রওনা হয়। এলাকাবাসী ইব্রাহীমদের বাড়ীর নিকটে আসলে ডাকত দল টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাসী ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এলাকাবাসীর চিৎকার শুনে দৌড়ে পালাতে গিয়ে স্থানীয়রা ঐ বাড়ী থেকে বাচ্চুকে ধরে ফেলে। এ সময় এলাকাবাসী বাচ্চুর কাছে ঐ বাড়ীতে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে তার কাছ থেকে কোন সদউত্তর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তারা। এলাকাবাসী একদিকে বাচ্চুকে আটক করলেও বাচ্চুর সাথে থাকা লোকজন তাদের স্যান্ডেল ও কোদাল ও (মাটি কাটার কাজে ব্যবহারিত) খোন্তা ফেলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি এলাকাসী পুলিশকে জানায়। স্থানীয়রা ডাকতদের ধাওয়া করার সময় বাচ্চুর সাথে থাকা স্থানীয় কয়েকজনকে এলাাকাবাসী চিনতে পারায় তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শন শেষে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ডাকতি করতে আসা স্থানীয় কয়েকজনের বাড়ীতে গিয়ে তৎক্ষনাৎ তাদের কাউকেই বাড়ীতে পায়নি বলেও জানান তারা। পরে বাচ্চু সাথে থাকা লোকজনের ফেলে যাওয়া স্যান্ডেল ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য সৈয়দা হেলেনার স্বামী খোকন খন্দকারের নিকট রেখেযান। পরের দিন স্থানীয়রা ডাকাতি করতে আসা লোকদের ফেলে যাওয়া কোদাল দেখে স্থানীয়রা কোদাল মালিককে সনাক্ত করে। কোদালটির মালিক পার্শবর্তী বালিঘোনা গ্রামের লোক হওয়ায় স্থানীয়রা
তাকে ডেকে আনেন। স্থানীয়রা কোদলের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে এটা তার কোদাল বলে স্বীকার করেন এবং কোদালটি তার কাছ থেকে ডাকতি ঘটনার আগে বিকেলে রাজ মিস্ত্রী কাজ শেষে বাচ্চু কাজ করার কথা বলে নিয়ে আসছে বলে জানান জালাল।
এ বিষয় ইব্রাহিম ও আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, বাচ্চু ও খচরু একই এলাকার শহীদ হাওলাদার ছেলে। তারা তাদের দলবল নিয়ে কেন গভীর রাতে আমাদের বাড়ীতে এসেছে জানিনা, কিন্তু তাদের ফেলে যওয়া সরঞ্জামের মাধ্যমে বোঝাযায় তারা আমাদের বাড়ীতে ডাকাতি করতে এসেছিলো। এ বিষয় ইব্রাহিম ও আলমগীর এর কাছে থানায় কোন অভিযোগ করছেন কি না ? জানতে চাইলে এখন পর্যন্ত কোন মামলা করিনি তবে আমাদের নিজের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে জানতে পারবেন বলে জানান তারা।