ইমাম বিমান, ঝালকাঠি থেকে :
ঝালকাঠিতে ইউএনও তানিয়া ফেরদৌসের হস্থক্ষেপে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি বাল্যবিয়ে পন্ড হওয়ার মাধ্যমে দুইজন স্কুল ছাত্রী ফিরে পেল নতুন জীবন। ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌসের হস্থক্ষেপে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি বাল্য বিয়ে পন্ড হয়েছে।
উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নস্থ দাড়িয়াপুর গ্রামের জৈনক জব্বার হাওলাদারের বাড়ীতে ঢাকা থেকে ১৩ বছর বয়সী ৯বম শ্রেনী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে নিয়ে ১৭ বছর বয়সি আলামিন পালিয়ে তার নানা বাড়িতে আসে। পরে আলামিনের নানা জব্বারের সহযোগীতায় গত ৮ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে ঐ বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুনজন শুরু হলে একপর্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস জানতে পারেন। পরে ঐ রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্যে দ্বীর্জদাশ ব্যানার্জীর মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করে। পরে ছেলে ও মেয়ের অবিভাবক ডেকে বাল্যবিয়ে দিবেনা মর্মে মুছলেকা রেখে ছেলে ও মেয়েকে যার যার অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন।
অপরদিকে একটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ১২ ঘন্টা যেতে না যেতেই ০৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নস্থ বালিঘোনা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বাবুলের ছেলে শফিকুল ইসলাম (১৯) এর সাথে একই এলাকার বাসিন্দা ১৩ বছর বয়সী ৯ বম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ের আয়োজন করে। তাদের বিয়ের আয়োজনের সংবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্মতা তানিয়া ফেরদৌসের নজরে আসলে তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে পন্ডহয়। পরে সেখানে একইভাবে সন্তানদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দিবো না মর্মে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকগন মুছলেকা প্রদান করেন।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বাল্য বিয়ের কারণে শিশুদের শিক্ষালাভ বাঁধাগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে কন্যা শিশুদের উপর প্রভাবটা বেশি পরে। তাই গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমাদের সর্বদা দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও আমার প্রশাসন এই উপজেলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি।