নিউজ ডেস্ক:
নারীরা তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে একটু আবেগঘন পরিবেশে কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে চান। চান যে তাঁর ভেতরের কথাগুলো মানুষটা শুনুক, বুঝুক। কিন্তু এই ক্ষেত্রে পুরুষেরা কিছু দূর এগোলেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরির দিকে যেতে চান। পরে হয়ত সঙ্গিনীর মন খারাপ দেখে দুঃখিত বলেই দায় সারেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
পেনসিলভানিয়ার বাকনেল ইউনিভার্সিটির মনস্তত্ত্ববিদ টি জোয়েল ওয়েডের নেতৃত্বে একদল গবেষক এই গবেষণাটি করেন। বলা হয়, প্রথমে অনলাইন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে ৩৬ জন পুরুষ ও ৩৮ জন নারীর ওপর একটি গবেষণা চালানো হয়। এতে জানতে চাওয়া হয়, একদম ব্যক্তিগত পর্যায়ে চাহিদার ভিন্নতা থাকলে তাঁরা কীভাবে তা সামাল দেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও ৪১ জন পুরুষ ও ১২৩ জন মহিলার ওপর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের তুলনায় পুরুষেরা কথা বলে কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপভোগের চেয়ে শারীরিক সম্পর্কের দিকে ঝোঁক বেশি।
জোয়েল ওয়েড বলেন, বেশির ভাগ সময় নারীরা ঝগড়াঝাঁটি ছাড়াই সম্পর্ক ভালো রাখতে ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গীর চাহিদা অনুযায়ী শারীরিক সম্পর্ক করেন। তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে সহজে সম্পর্ক নষ্ট করতে চান না বলেই এমনটা করেন। অন্যদিকে কোনো পুরুষ যদি মানসিকভাবে দুর্বল হন, তাহলে নারী তাঁকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে চান না।
জোয়েল ওয়েড বলেন, কোনো পুরুষ যদি কান্নাকাটি করেন, তাহলে সেটা তাঁর দুর্বলতা নয়। বরং তা এটা প্রকাশ করে যে সঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে তাঁর আবেগ প্রবল। আর চাহিদার ভিন্নতার কারণে দুজনের দ্বন্দ্বের পর যদি সঙ্গী অনুতাপে চোখের জল ফেলেন, তাহলে নারীরা তা ইতিবাচক হিসেবেই নেন। তাঁরা ভাবেন, সঙ্গী হয়তো একটু পরে হলেও বুঝতে পেরেছেন। ঠিক নারী হিসেবে নয়, সঙ্গিনীর আবেগে আবেগতাড়িত হয়ে চোখের জল ফেলাটাকে নারীরা পছন্দ করেন।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর