প্রাথমিকে মেহেরপুরে শতভাগ পাশ: আটটি বোর্ডের পাশের হার ৮৫ দশমিক ২৮
নিউজ ডেস্ক:ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের দুই সমাপনী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে বেড়েছে পাসের হার। তবে কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা। চলতি বছর অতিরিক্ত যোগ না হওয়ায় কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা। তবে প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। চতুর্থ বিষয় যোগ না হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, প্রকৃত মেধাবী যারা তারাই এখন জিপিএ-৫ পাচ্ছে। গতকাল সচিবালয়ে জেএসসি-জেডিসি, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল আলাদা আলাদা তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। এর আগে সকালে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন দুই মন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে।
জেএসসি-জেডিসির ফলাফল: জেএসসি-জেডিসির পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় মোট ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এবার গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ বছর পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২২ লাখ ১৬ হাজার ৯৬১ জন। এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৪ জন। সাধারণ ৮ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এবার ৮ বোর্ডে গড় পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। এবার সাধারণ ৮ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন। সে হিসাব অনুযায়ী এবার জিপিএ-৫ কমেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮৯ জন। মাদরাসা বোর্ডে ৩ লাখ ৮২ হাজার ২০৮ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩১১ জন। পাসের হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গত বছর ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৮ জন অংশ নিয়ে পাস করেছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ২৪৭ জন। পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ সমাপনীতে পাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও মেয়েরা এগিয়ে। মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ হাজার ৯০৫ জন। পক্ষান্তরে ছেলেরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ১৯০ জন। সে অনুযায়ী ছেলেদের তুলনায় ১১ হাজার মেয়ে বেশি জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
শতভাগ পাস: শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬৯টি। যা গত বছর ছিল ৫ হাজার ২৭৯টি। এবার এই সংখ্যা কমেছে ৫১০টি। অন্যদিকে, শতভাগ শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৩টি। গত বছর ছিল ৫৯টি। এবার ১৬টি শতভাগ শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার শীর্ষে আছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ৯৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, এরপর আছে রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যশোর ৮৪ দশমিক ৬১, ঢাকা ৮৩ দশমিক ১৯, চট্টগ্রাম ৮১ দশমিক ৫২, দিনাজপুর ৮১ দশমিক ৬৩, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সিলেট ৭৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, খাতা মূল্যায়নের কারণে ছন্দপতন হয়েছে। এ ছাড়াও এবার চতুর্থ বিষয় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যায়ন করা হয়েছে। চতুর্থ বিষয় মূল নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হয়নি। এ বছর কৃষি শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্মমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কলা, গার্হস্থ্য শিক্ষা, আরবি বিষয়গুলো ধারাবাহিক পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এসব বিষয়ের নম্বর গড়ে যোগ না হলেও নম্বরপত্রে দেয়া থাকবে। গত বছরের চাইতে জিপিএ-৫ সংখ্যা কমে গেলেও প্রাপ্ত জিপিএ-৫ ঠিকই রয়েছে।
প্রাথমিকে জিপিএ-৫ এর রেকর্ড: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৯০৪ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৯। পাস করা পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ লাখ ৮১ হাজার ১৯ জন ছাত্র এবং ১৪ লাখ ৭ হাজার ৮৮৫ জন ছাত্রী। ছাত্রদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৮ ভাগ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৮ ভাগ। গত বছর প্রাথমিকে পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ১৮ ভাগ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার বেড়েছে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬১ হাজার ৪১১ জন এবং ছাত্রী দুই লাখ ছয় হাজার ৭৮২ জন। পাসের হারে ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। গত বছর দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৫৮ জন পরীক্ষার্থী বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাসের হারে সাত বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগ শীর্ষে রয়েছে। এ বিভাগের পাসের হার ৯৮ দশমিক ২৫ ভাগ। ৬৪ জেলার মধ্যে নওগাঁ, মেহেরপুর, মাদারীপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ভোলা, হবিগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম জেলায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। বিগত বছরের ফলাফলের চেয়ে এবার দুর্গম জেলায় ফলাফল ভালো হয়েছে। ৫১০ উপজেলা/থানার মধ্যে ১৬টি উপজেলার শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। সারা দেশের ২৮৩টি স্কুলের শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। সারা দেশে ইংরেজি ভার্সনে ১১ হাজার ৮৫০ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১১ হাজার ৮০৪ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৬০ভাগ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন চার হাজার ১৯৬ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে তিন হাজার ৯৬০ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৩৮ ভাগ। দুই হাজার ২২১ জন ছাত্র ও এক হাজার ৭৩৯ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আর ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দুই লাখ ৭৪ হাজার ৯০৭ ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৫৫৭ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৯ ভাগ। পাস করাদের মধ্যে এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৮ জন ছাত্র এবং এক লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ জন ছাত্রী। গত বছর পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৯৪ ভাগ। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার বেড়েছে চার দশমিক ৭৫ ভাগ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ২৬৪ জন। ছাত্র পাঁচ হাজার ৯২৪ জন এবং ছাত্রী ছয় হাজার ৩৪০ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ২৩ জন। গত বছর এ সংখ্যা বেড়েছে সাত হাজার ২৪১ জন।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (আলমডাঙ্গা) জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় আলমডাঙ্গায় এবার পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। পিইসি পরীক্ষায় গড় পাসের হারে এবারের পরীক্ষায় মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এগিয়ে আছে। ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার শতভাগ। কিন্তু পিএসসি পরীক্ষায় ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও ইবতেদায়ি পরিক্ষায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে আলমডাঙ্গার উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নানের নিকট পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেফাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, কিন্ডারগার্ডেন এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারেছ উদ্দীনসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ। গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মিলাতায়নের এক অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট ৬ হাজার ৮৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ৩ হাজার ৩৬৬ জন এবং ছাত্রী ৩ হাজার ৬১৩ জন। এবারের পরীক্ষায় ছেলে-মেয়ে অনুপস্থিত ছিলো ১২৯ জন। মোট পাশের হার উপজেলায় ৬ হাজার ৭২৮ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬১৩ জন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, যশোর বোর্ডের অধিনে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনির ন্যায় জেএসসি পরীক্ষাতেও মেহেরপুরে জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ শতভাগ পাশসহ জেলায় তাদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। গাংনী সন্ধ্যানী স্কুল এন্ড কলেজ দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে সরকারী দুটি বিদ্যালয়। মেহেরপুর সদর থেকে তিনটি বিদ্যালয়ে শতভাগ পাশ করার পাশাপাশি মোট ৯৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার ৪৩টি বিদ্যালয় থেকে ৪৬৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৮৫২ জন পাশ করেছে। যার পাশের হার ৮৩.০৯ ভাগ।
এর মধ্যে মেহেরপুরে জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৯০ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৯ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাশ করেছে। সদর উপজেলায় শতভাগ পাশ করা টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ১ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাশ, সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ৩৫ জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। এদিকে, মেহেরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৫২ জনের মধ্যে ১৭ জিপিএ-৫ সহ ২২৮ জন, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৮২ জনের মধ্যে ২৯ জিপিএ-৫ সহ ২৭৫ জন, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এন্ড বিএম কলেজ থেকে ১০৪ জনের মধ্যে ৮৫ জন, কবি নজরুল শিক্ষ মঞ্জিল থেকে ৯২ জনের মধ্যে ৪৯ জন, আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২২৩ জনের মধ্যে ৩ জিপিএ- ৫ সহ ২১৫ জন, যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৮৭ জনের মধ্যে ৩ জিপিএ-৫ সহ ১৬৭ জন, কুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৪ জনের মধ্যে ১ জিপিএ- ৫ সহ ৯০ জন, আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৩৭ জনের মধ্যে ৯০জন, কাজী কুদরুতুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৫ জনের মধ্যে ২১ জন, মমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৮৩ জনের মধ্যে ৪ জিপিএ-৫ সহ ২৭৩ জন, শালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১২৯ জনের মধ্যে ৯৯ জন, আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৬৪ জনের ১৫৪ জন, গোভীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১২৮ জনের মধ্যে ৯৫ জন, উজলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯২ জনের মধ্যে ৫৫ জন, সাহেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭২ জনের মধ্যে ৬৯ জন, পিরোজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭০ জনের মধ্যে ১৩৫ জন, কলমীজোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭২ জনের মধ্যে ৬৫ জন, গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮২ জনের মধ্যে ৬৫ জন, কামদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১০৮ জনের মধ্যে ৭৫ জন,
শোলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৫জনের মধ্যে ৬৬ জন, আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৮১ জনের মধ্যে ০১ জিপিএ-৫ সহ ১৫৪ জন, ঝাউবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭০ জনের মধ্যে ১ জিপিএ- ৫ সহ ৫১ জন, ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৬১ জনের মধ্যে ৪৯ জন, হাতিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৯ জনের মধ্যে ৪৩ জন, বাড়িবাকা সিমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫২ জনের মধ্যে ৩৮ জন, চকশ্যাম নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৭ জনের মধ্যে ৪৯ জন, হরিরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮৬ জনের মধ্যে ৬৫ জন, বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৫১ জনের মধ্যে ৫ জিপিএ-৫ সহ ১৪৯ জন, মদনাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩০ জনের মধ্যে ২৮ জন, মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৫০ জনের মধ্যে ১ জিপিএ-৫ সহ ১৩১ জন, সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৩ জনের মধ্যে ৮৭ জন, কেআরআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬২ জনের মধ্যে ৪৮ জন, সুবিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮৭ জনের মধ্যে ৬৪ জন, শ্যামপুর শালিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫২ জনের মধ্যে ৪১ জন, শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৮৪ জনের মধ্যে ৫৪ জন, বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯১ জনের মধ্যে ৫৭ জন, পৌর নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৩৪ জনের মধ্যে ২৪ জন, সিএইচএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১২৩ জনের মধ্যে ৯৫ জন, কালী গাংনী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪০ জনের মধ্যে ৩৫ জন এবং রায়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৪২ জনের মধ্যে ৩০ জন। এদিকে জেডিসি পরীক্ষায় মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৩৭৪ জন পরীক্ষা দিয়ে ১ জন জিপিএ-৫ সহ ৩৫৫ পাশ করেছে। জেডিসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯৪.৯২ ভাগ।
এদিকে মেহেরপুরে প্রাথমিক ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বরাবরের মত মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ শতভাগ পাশসহ জেলায় তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় মেহেরপুর জেলায় পাশের শতকরা হার ৯৮.৬৪ ভাগ। জানা গেছে, চলতি সালে মেহেরপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় মোট ১২,৫৪০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে পাশ করেছে ১২,১৪২ জন। যার মধ্যে ৫,৭৩০ জন ছাত্র এবং ৬৪১২ জন ছাত্রী রয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৪,৭৩০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭১৩ জন জিপিএ-৫ সহ ৪৫৫৬ জন পাশ করেছে। গাংনী উপজেলায় ৫৭৮০ জনের মধ্যে ৬২১ জন জিপিএ-৫ সহ ৫৫৯৫ জন পাশ করেছে। মুজিবনগর উপজেলায় ২০৩০ জনের মধ্যে ১৭৮ জন জিপিএ-৫ সহ ১৯৯১ জন পাশ করেছে। এবার সদর উপজেলায় ১২৯টি বিদ্যালয়ে, গাংনী উপজেলায় ১৯৮টি এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ছাত্র-ছাত্রী পাশ করেছে। এদিকে জেলার নাম করা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ ৯৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭৪ জন এ+সহ শতভাগ, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৬ জন এ+সহ শতভাগ, গে¬ারিয়াস প্রি-ক্যাডেট একাডেমী ৫৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৮ জন এ+সহ শতভাগ, মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩০ জন পরীক্ষা দিয়ে ১৭ জন এ+সহ শতভাগ, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ ৬৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৫৩ জন এ+সহ শতভাগ, গাংনী প্রি-ক্যাডেট একাডেমী ৬৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৭ জন এ+সহ শতভাগ পাশ করেছে। এদিকে ইবতেদায়ী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় মেহেরপুর জেলা থেকে ৬৯৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ৬০৩জন পাশ করেছে।