মেহেরপুরে মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে বাস শ্রমিকদের কর্মবিরতি
নিউজ ডেস্ক:শ্রমিকদের দাবি প্রতিদিন একটি করে ট্রিপ আর মালিকদের দাবি যেভাবে চলছে (প্রতিদিন দুটি করে), সেভাবেই ট্রিপ চলবে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে। মালিক-শ্রমিকদের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মেহেরপুরের সব রুটে চার দিন ধরে লোকাল বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকেরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েছে যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে অবৈধ স্যালোইঞ্জিনচালিত যান আলগামন, নসিমন ও ইজিবাইকে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, আন্তজেলার সব রুটে ৩৬ দিন বাস চলাচলের পর ৪৬ দিন বাস বন্ধ থাকে। বন্ধের সময় কাজ না থাকায় বাস শ্রমিকদের মানবেতর জীবন কাটাতে হয়। এ জন্য বন্ধের সময়সীমা কমাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে প্রতিটি বাস দুইবার চলাচলের পরিবর্তে একবার চালানোর দাবি শ্রমিকদের। মালিকপক্ষ যত দিন এ দাবি না মানবে, তত দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন শ্রমিকেরা। সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, ‘দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা মালিক সমিতির কাছে এ দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তারা আজ না কাল বলে সময়ক্ষেপণ করছে। এবার যদি দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজনে দূরপাল্লার বাস, ট্রাক সব বন্ধ করে দেব।’
জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল জানান, ‘শ্রমিকদের এ দাবি আগেও মানা হয়েছিল। পরবর্তীতে শ্রমিকেরাই তা পরিবর্তন করেছেন। মালিকদের সঙ্গে না বসেই শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের এ অন্যায় দাবি আমরা মেনে নেব না। তাঁদের কারণে আজ সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে। আমরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে গাড়ি রাস্তায় নামিয়েছি। যখন-তখন তাঁদের অন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব হবে না।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইবাদত হোসেন জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুলের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি মিমাংসা করে বাস চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। যেহেতু শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন, সে কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রত এর সমাধান হবে।’
এ বিষয়ে মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য যেকোনো সময় বৈঠক হতে পারে উভয় পক্ষের সঙ্গে।