নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে করিমন থেকে ছিটকে পড়ে মধ্যবয়সী নারী লিলি খাতুনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়। নিহত লিলি খাতুন (৫০) জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের রাজধানীপাড়ার আনসার আলীর স্ত্রী। এ মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত লিলি খাতুন জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক পাপিয়া সারমিন ইতির বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে। গত শনিবার নিজ বাড়ি আন্দুলবাড়ীয়া থেকে জীবননগর যাওয়ার পথিমধ্যে দেহাটি সন্তোষপুর সড়কে একটি করিমন থেকে ছিটকে পিচ রাস্তার উপর পড়ে। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়। এ সময় স্থানীয় জনগন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রবিবার দুপুরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. হেলেনা আক্তার নিপার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গত শনিবার লিলি খাতুন নামের এক মধ্যবয়সী নারী গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকাল রবিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
প্রভাষক পাপিয়া সারমিন ইতির সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি আর লিলি খালাসহ গাড়িতে বেশ কয়েকজন ছিলাম। লিলি কয়েক দিন ধরে আমার বাড়িতে কাজে আসছিলো না তাই আমি তার বাড়িতে যেয়ে তাকে সাথে করে একটি করিমনে আসছিলাম। লিলি গাড়ীর পিছনে বসে ছিলো হঠাৎ করিমন থেকে তিনি পিচ রাস্তার উপর পড়ে যায়। এ সময় তিনি গুরুত্বর আহত হয়। এ সময় আমি তাকে নিয়ে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করি এবং তার বাড়িতে খবর দিই। কিন্তু একটি মহল আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলছে আমি নাকি তাকে করিমন থেকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের লিলি খাতুন নামের এক মধ্যে বয়সী নারী করিমন থেকে ছিটকে পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পর যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। এদিকে, এ মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে এলাকায় ধু¤্রজাল কেউ বলছে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আবার কেউ বলছে করিমন থেকে ছিটকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। আসল ঘটনা কোনটি প্রশ্ন এলাকার সাধারণ জনগনের।