নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রামে পুকুর খননের নামে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব পুকুরের অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রভাবশালী ঠিকাদারেরা। প্রশাসন ও ভূমি কর্মকর্তার কোনো অনুমতি না নিয়েই ধোপাখালী গ্রামের মৃত নুর আলমের ছেলে আরিফ ও যুদ্ধ প্রভাবশালী ঠিকাদারের সহযোগিতায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে বেশ কয়েকদিন ধরেই মাটি ও বালু উত্তোলন করে পলিটেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন জায়গায় তা বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ১ হাজার টাকা দরে ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ধোপাখালী গ্রামের আরিফ ও যুদ্ধ অবৈধভাবে এক্সকাভেটর যন্ত্রের (ভেকু মেশিন) সাহায্যে পুকুর খননের পর ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি বহনের কারণে এলাকার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে স্থানীয় লোকজন। এসব কারণে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে সমস্যার পড়তে হয় ধোপাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
ধোপাখালী প্রাইমারি বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে ট্রাক্টরে এ মাটি বহনের ফলে মারাত্মকভাবে শব্দ দূষণের কবলে পড়ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর ফলে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানসহ নানারকম সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকেরা। ধোপাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান লাকি জানান, ‘বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই স্কুলের পাশ দিয়ে ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি বহনের কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ নানামুখী সমস্যা হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বয়সে অনেক ছোট, যার ফলে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় এরা দুর্ঘটনার কবলেও পড়তে পারে।’
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,‘তাঁদের পুকুর খননের কোনো রকম অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ এলাকাবাসী এ অবৈধ মাটি ব্যবসা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।