নিউজ ডেস্ক:
জামায়াতের সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যে কোনো দিন রায় (সিএভি) ঘোষণা করা হবে।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রেখে গতকাল মঙ্গলবার আদেশ দেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে এটি হবে ২৯তম রায়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও শেখ মোশফেক কবির। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম ও মো. শাহিনুর ইসলাম।
আব্দুল আজিজ ছাড়া মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন- মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। এ ছয়জনের মধ্যে মো. আব্দুল লতিফ কারাগারে আছেন, বাকী পাঁচজন পলাতক রয়েছে।
আজ যুক্তিতর্ক পেশ শেষে প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ লিখিত ও দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আজিজসহ গাইবান্ধার ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। একই বছরের ২৩ নভেম্বর প্রসিকিউশনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল আজিজ মিয়া ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় জোটের অধীনে জামায়াত থেকে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।