নিউজ ডেস্ক:জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নামে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ। গতকাল বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলটি মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা অওয়ামী লীগের সদস্য খ. ম. হারুন ইমতিয়াজ বিন জুয়েল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি রেজাউল হত্যা মামলায় একজন সাক্ষী ছিলাম। কিন্তু আমাকে সাক্ষ্য দেওয়ানো হয় নাই। উনি বলেছিলেন, আপষ করে নিয়েছে। সেই সময় দায়িত্বে ছিলেন আজকের শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সভাপতি। রেজাউলের রক্ত বিক্রি করে টাকা গ্রহণ করে, কিন্তু সেই টাকা রেজাউলের পরিবারকে দেওয়া হয় নাই। এটি আজ থেকে ২৮ বছর আগে ৯২ সালের ঘটনা। রেজাউল চত্বরের টাকায় তিনি জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে আপস মীমাংসা করে। সেই সময়ের দুর্লভ ছবি এস এম কামালের কাছে আছে। তিনি ছাত্রলীগটাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ করতে হলে নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আওয়ামী লীগ করতে হবে। এটাই আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট।’ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সালাম বাধন বলেন, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি শহর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম ছহিউদ্দীনের নামে কটূক্তি করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নামে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে, আরও নেতৃবৃন্দের নামে বাজে কথা বলা হয়েছে। আপনারা বলেছেন আপনারা ত্যাগী নেতা, ২০১৪ সালে আপনি কী করেছেন? জননেত্রী শেখ হাসিনা অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে নৌকার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পাঠিয়েছিলেন, আর আপনি তাঁর বিরুদ্ধে ভোট করেছিলেন। আপনাদের ত্যাগের কথা কি জননেত্রী শেখ হাসিনা জানেন না? তাহলে কেন ফরহাদ হোসেনকে মন্ত্রী করা হয়েছে, সভাপতি বানানো হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে ফরহাদ হোসেনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এর আগে যখন মিছিল করেছিলেন, তিনি মন্ত্রী হয়ে গেছেন। আবার যদি কিছু করেন, তাহলে দেখবেন অন্য কিছু হয়েছে। আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে এই মেহেরপুরের দায়িত্ব দিয়েছেন, তার ছায়াতলে এসে আগামীতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করি। আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত করবেন না।’ প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুলকারনাইন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আদিব হোসেন আসিফ, সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ, মুজিবনগর উপজেলা সভাপতি হেলাল উদ্দিন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব, ছাত্রলীগের নেতা আল মামুন, ইমাম হাসান, ইমন গাজী, প্লাবন, সোহাগ প্রমুখ।