নিউজ ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিশ্ব যখন জঙ্গিদের ভয়ে তটস্থ, তখন আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারি জঙ্গিবাদ নির্মূল না করতে পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর পবা থানা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ভালো। এদেশের মানুষ ধর্ম-কর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু অধর্মে বিশ্বাসী নয়। তারা সমাজের কল্যাণের জন্য রুখে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের মানুষ কখনই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। তারা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর আমাদের পুলিশ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবন বাজি রেখে তাদের শক্ত হাতে মোকবিলা করেছে। আমি বলতে চাই এই সাফল্য আপনাদের সবার। যতদিন সাধারণ মানুষ এক থাকবেন ততদিন এদেশে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিতে পারবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি দমনের জন্য স্বল্প পরিসরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে সরকার সারা দেশব্যাপী কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এক কথায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সখ্যমতা বাড়ানোর জন্য যা যা দরকার আমরা তাই করবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, সারাদেশে ১০৩টি জরাজীর্ণ থানা চিহ্নিত করা হয়েছে। আজ পবা থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করা হলো। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো থানাকে একই মডেলে একই ডিজাইনে একই সুযোগ সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক বাহিনীতে রূপান্তরের কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে দুইদিনের সফরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীতে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি প্রথমে জেলার পবা ও পরে নগরীর শাহ মখদুম থানা কমপ্লেক্সের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।
এসময় রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, আব্দুল ওয়াদুদ দারা এমপি, আয়েন উদ্দিন এমপি, আকতার জাহান এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন, মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম এবং জেলা পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পবা ও শাহ মখদুম থানা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পবা থানা কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারসহ শাহ মখদুম থানা কমপ্লেক্সে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা।