নিউজ ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠন সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ছয় জনের এই কমিটিতে সরকারি কর্ম কমিশনের প্রধান মুহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মহাহিসাব নিরীক্ষক (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) মাসুদ আহমেদ, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত দুই জন বিচারপতি রয়েছেন। জানা গেছে, কমিটিতে একজন নারী সদস্যও আছেন।
সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি গেজেটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে। আজই গেজেট প্রকাশ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর শুরু হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির ‘নিরপেক্ষ সদস্য’ খোঁজা কাজ। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও তিন নির্বাচন কমিশনার এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি আরেক নির্বাচন কমিশনারের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নাম খোঁজার কাজ করবে সার্চ কমিটি। তারা নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নাম অনুসন্ধানের জন্য দুই সপ্তাহের কম সময় পাবেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে বিএনপিসহ কয়েকটি দল তাদের পছন্দের ‘নির্বাচন কমিশনারদের’ নামের তালিকা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি ‘নির্বাচন কমিশনার’ হতে পারেন এমন ১০ জনের নাম প্রস্তাব করার পাশাপাশি সার্চ কমিটিতে কারা থাকবেন তাদের নামও রাষ্ট্রপতির কাছে দিয়েছে।
জানা গেছে, যে সব দল ‘নতুন কমিশনের’ জন্য নাম প্রস্তাব করেনি সার্চ কমিটি গঠনের পর তাদের কাছে আবারও নাম তালিকা চাওয়া হতে পারে। এ ছাড়া সাবেক সচিব, বিচারপতিদের নাম তালিকাও করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরপর দলের প্রস্তাবিত নাম ও কমিটি অনুসন্ধান করে বিশেষ কিছু নাম রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করবে। পরে সেই তালিকা থেকে চূড়ান্ত হবে নতুন নির্বাচন কমিশনের নাম।
সম্প্রতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করেন রাষ্ট্রপতি। দীর্ঘ এক মাস ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৩১টি রাজনৈতিক দল আলাদাভাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসি পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করে। রাষ্ট্রপতির কাছে সংলাপে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইসি গঠন নিয়ে আইন প্রণয়নের দাবি জানালেও সময় ‘স্বল্পতা’য় তা আর হচ্ছে না। কারা আসছেন নতুন নির্বাচন কমিশনে, তা নিয়ে সর্বত্র চলছে আলাপ-আলোচনা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের বিদায়ের পর, দায়িত্ব নেবে নতুন নির্বাচন কমিশন। তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।