নিউজ ডেস্ক:
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বা ৬ মাসে মোট রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। যা বাজেটে লক্ষ্যমাত্রার ৩৬.৬৪ শতাংশ। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ অধিবেশনে অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা (জিডিপির ১২.৩৫ শতাংশ)। এর মধ্যে অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৮ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। যা বাজেটে মূল লক্ষ্যমাত্রার ৩৬.৬৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদায়কৃত রাজস্বের মধ্যে এনবিআর থেকে অর্জিত রাজস্বের পরিমাণ ৭৬ হাজার ৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭.১০ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে এনবিআর বহির্ভূত কর রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ২ হাজার ৭৩২ কোটি ২০ লাখ টাকা (প্রবৃদ্ধি-০.৬৯ শতাংশ) এবং কর বহির্ভূত রাজস্বের পরিমাণ ১০ হাজার ১৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৫১ শতাংশ।
তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ভাল তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে রাজস্ব আদায়ের গতি বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবে সাধারণত অর্থবছরের শেষদিকে রাজস্ব আদায়ের গতি বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া কর বহির্ভূত উৎস হতে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রযোজ্য হারসমূহ যৌক্তিকিকরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রণালয়, বিভাগসমূহকে উদ্বুদ্ধ করতে অর্থবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।