নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকম-লীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন যখন নির্বাচনের বাতাস বইছে তখন স্বাভাবিক কারণে তারা ভাবছে ভারতের একটু আশীর্বাদ বা ছায়া পাওয়া যায় কি না। তাই বাইরে বাইরে একটু ভারত প্রীতির আভাষ দিচ্ছে। ভেতরের ব্যাপারটা বলতে চাই না। কিন্তু আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জনগণই আমাদের শক্তির উৎস। আমাদেরকে ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। কোন বিদেশী শক্তি আমাদেরকে ক্ষমতায় বসাবে- এই আশা নিয়ে বিএনপির মতো চাতক-অপেক্ষায় আমরা বসে নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভিশন ৩০ ঘোষণাও শুনেছি। সেরকম সহায়ক সরকারের ঘোষণাও কি বলবেন, আমরা তো মুখে কুলুপ এঁটে দেইনি। সবার সবকিছু বলার স্বাধীনতা আছে। টকশো’তেও আমাদের বিরুদ্ধে যা খুশি বলার বা অশ্রাব্য ভাষায় বলার অধিকারও আমরা হরণ করিনি।
অনেক সময় আমাদের নেত্রীসহ আমাদের অনেককে ব্যক্তিগত বাক আক্রমণও কেউ কেউ করছে। তারপরও কিন্তু আমরা ফ্রিডম স্পিচে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিনি। বিএনপির প্রেস বিফ্রিংয়ে অনেক সময় আমাদের নেত্রী ও আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ডার্টি ভাষায় কথা বলা হয়। আমাদের নেত্রীকে আগে বেগম জিয়া ‘হাছিনা হাছিনা’ বলতেন, এখনও বলছেন। এখন তার অনুসারীরাও শেখ হাসিনা বলা ছেড়ে দিয়েছেন। তারাও তাদের নেত্রীকে অনুসরণ করে হাছিনা হাছিনা বলা শুরু করেছেন। এজন্য তো কেউ গিয়ে তাদের প্রেস বিফ্রিংয়ে বাধা দেয়নি। তারা তাদের বিদ্বেষ প্রসূত সেই মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
আমরা বিশ্বাস করি, এই মিথ্যাচারই তাদের দুর্বলতার প্রতীক। এই মিথ্যাচার করে, আগামী নির্বাচনে প্রত্যাশিত বিজয় থেকে আওয়ামী লীগকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। মিথ্যাচার করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকানো যাবে না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘দেশে এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজমান। তবে আমি আপনাদের এইটুকু বলতে পারি, শিগগিরই সম্মেলন হবে। আশা করি খুব শিগগিরই জানতে পারবেন ছাত্রলীগের সম্মেলন কবে এবং সেটা বেশি দেরি হবে না।
ছাত্রলীগের মিটিংয়ে যে আলোচনা হয়েছে, বিতর্ক হয়েছে সেটা আওয়ামী লীগ মূল দলেও আমরা করি। একটু আগে সম্পাদকম-লীর মিটিংয়েও আমরা বিতর্ক করেছি। বিতর্কই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। বিতর্ক করতে হবে। কথা বলার অধিকার দিতে হবে। মুখ বন্ধ করা যাবে না। সবাই মন খুলে কথা বলুক।
তিনি বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আগামী ২০ জুলাই ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় এবং ১৬ জুলাই দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রতিনিধি সভার কথা জানান।
দলের সাধারণ সম্পাদকের সভাপতিত্বে সম্পাদকম-লীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অসীম কুমার উকিল, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আব্দুস সবুর, ফরিদুর নাহার লাইলী, ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, শামসুন্নাহার চাঁপা, দেলোয়ার হোসেন, হারুনুর রশীদ, ড. হাছান মাহমুদ, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আমিনুল ইসলাম আমিন।