নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউটরের আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক কর্মী প্রায় ১২ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শামিম উদ্দীন মিয়া। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিয্ক্তু ওই কর্মচারীকে আটক করতে বিভিন্ন কৌশলে কাজ শুরু করেছে সদর থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার অফিস থেকে টাকা নিয়ে মার্কেটে গিয়ে পালিয়ে যায় ওই কর্মচারী। অভিযুক্ত বিকাশের ওই কর্মচারী আব্দুল্লাহ আল মামুন জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা বিকাশের র ডিষ্ট্রিবিউটর তাজ ইন্টারন্যাশনাল রেলবাজার চুয়াডাঙ্গা অফিসের (ডিএসও) জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক কর্মচারী প্রতিদিনের ন্যায় সকালে অফিসে আসে। খাতাপত্র সাক্ষর করে মার্কেটে দেওয়ার জন্য অফিস ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। এরপর তার প্রতিদিনের মার্কেট আলমডাঙ্গার দিকে যায় ওই কর্মচারী। পরে বিকালে অফিসে ফিরে আসার সময় পার হয়ে গেলেও, অফিসে ফিরে আসেনি ওই কর্মচারী। পরে অফিস কর্তৃপক্ষ অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান করতে পারেনি। একপর্যায়ে অফিসের লোকজন জানতে পারে মার্কেটে নির্দিষ্ট দোকানে চাহিদা অনুযায়ী ক্যাম প্লেস না করেই মার্কেট থেকে আরো অতিরিক্ত কয়েক হাজার টাকা তুলে নেয় ওই কর্মচারী। অফিস কর্তৃপক্ষ আরো অনুসন্ধান চালালে জানতে পারে, ওই কর্মচারী তার মামার নাম্বারে ১৫ হাজার, ভাই সুমনের নাম্বারের ১৫ হাজার, নিজ স্ত্রীর নাম্বারে ১৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেছে।
পরে চুয়াডাঙ্গা বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউটরের তাজ ইন্টারন্যাশনাল রেলবাজার চুয়াডাঙ্গা অফিসের ম্যানেজার শমিম উদ্দীন মিয়া সদর থানায় ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের হলে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদের কার্যক্রম শুরু করে। সদর থানার এক কর্মকর্তা জানান, অভিয্ক্তু ওই কর্মচারীকে আটক করতে বিভিন্ন কৌশলে কাজ শুরু করেছে সদর থানা পুলিশ।