নিউজ ডেস্ক:
মুরাদ হোসেন: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টবল পদে চাকরি নেওয়ার ঘটনায় নারী পুলিশ সদস্যসহ তিন জনের নামে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় পুলিশের এসআই শহিদুজ্জামান খান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
গতকাল সন্ধায় অভিযুক্ত দুই সদস্যকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা শিরোমনি ৩য় আমর্ড ব্যাটালিয়ন থেকে ও যশোর জেলা থেকে গ্রেফতার করেন। নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে ঢাকা এসপিবিএন-২ কর্মরত রবিউল ইসলামকে।
গ্রেফতারকৃতরা হল- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ানের কুড়ালগাছি বড়বলদিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাছিমা খাতুন কনস্টবল নং-১২৮১ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ানের সরোজগঞ্জ জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কনস্টবল নং-৩৩৭৩।
অন্য জন হল- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ানের সরোজগঞ্জ আশানন্দপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম কনস্টবল নং- ১৩৪৮২।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশ হেডকোয়াটার পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার গত ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কনস্টবল পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করেন রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমকে। দুই জনের পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই করার জন্য পুলিশ হেডকোয়াটার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। যাচাই শেষে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জানায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ দুটি জাল ও ভুয়া।
২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি নাছিমা খাতুন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় পুলিশ কনস্টবল পদে নির্বাচিত হন। তার পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যাচাই শেষে জাল ও ভুয়া বলে কর্তৃপক্ষকে জানায়।
অভিযুক্তরা অবৈধ ভাবে রেশন, বেতন, ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা নেয়। তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা হয়েছে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর আবু হোসেন সকালের খবরকে জানান, যারা জাল ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে চকরি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিক। যেন অন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ জাল করে এ ধরনের কাজ করতে না পারে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দায় আমরা নিতে পারিনা।
পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন বলেন, অভিযুক্তদের দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়াটার যাচাই-বাছাই করেন। জেলায় একজন নারীসহ তিনজন পুলিশ কনস্টবল পদে জাল ও ভুয়া সদন দাখিল করায় মামলা হয়েছে। অভিযক্তদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।