চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টবল পদে চাকরি নেওয়ায় গ্রেফতার নারী পুলিশ সদস্যসহ দুই জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে আমলী চুয়াডাঙ্গা সদর আদালতের বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
বিকালে পুলিশ প্রহরায় তাদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আসামীরা হল- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ানের কুড়ালগাছি বড়বলদিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাছিমা খাতুন কনস্টবল নং-১২৮১ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ানের সরোজগঞ্জ জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কনস্টবল নং-৩৩৭৩।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশ হেডকোয়াটার পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার গত ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কনস্টবল পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করেন রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমকে। দুই জনের পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই করার জন্য পুলিশ হেডকোয়াটার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। যাচাই শেষে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জানায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ দুটি জাল ও ভুয়া।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় পুলিশের এসআই শহিদুজ্জামান খান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
গত শনিবার সন্ধায় অভিযুক্ত দুই সদস্যকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা শিরোমনি ৩য় আমর্ড ব্যাটালিয়ন থেকে ও যশোর জেলা থেকে গ্রেফতার করেন। নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে ঢাকা এসপিবিএন-২ কর্মরত রবিউল ইসলামকে।
২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি নাছিমা খাতুন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় পুলিশ কনস্টবল পদে নির্বাচিত হন। তার পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যাচাই শেষে জাল ও ভুয়া বলে কর্তৃপক্ষকে জানায়।