আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আ.লীগের নেতাকর্মির মত আচরণ করছে
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু অভিযোগ করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। প্রচারণা শুরুর প্রথম দিন থেকেই নির্বাচনী এলাকায় ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নেতাকর্মিদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা। তাছাড়া সাধারণ ভোটারদের বাড়িতে যেয়ে ভোট দিতে যেতে নিশেধ করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়াস্থ নিজ বাসভবনে জরুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী আলহাজ মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও অভিযোগ করে বলেন, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সরকার দলীয় নেতাকর্মিদের মত আচরণ করছে। গণগ্রেফতারের, নির্যাতন, পাশাপাশি প্রতিদিনই মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মিদের হয়রানি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না। চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার কোথাও ধানের শীষের পোস্টার লিফলেট বিলি, মাইকিং ও নেতাকর্মিরা প্রচারণা চালাতে গেলেই হামলার শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু। গত ১০ দিনে জীবননগর ও দামুড়হুদা নির্বাচনী দুটি উপজেলায় প্রায় ২০টি হামলায় শতাধিক নেতাকর্মি আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ৫ দিনে ১০ মামলায় আসামী করা হয়েছে প্রায় ৮ শতাধিক নেতাকর্মির নামে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমরা দেশবাসীর মত সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা চাই সবাই যাতে সুষ্টু ও নিরাপদভাবে ভোট সেন্টারে যেয়ে ভোট দিতে পারে। সে ব্যবস্থা করবেন সেনাবাহিনী। সংবাদ সম্মেলনে গত ১০ দিনে তার নির্বাচনী এলাকার হামলা মামলার চিত্র তুলে ধরে বিএনপির প্রার্থী মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু বলেন, শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী শাহ, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা জাহান পারুল।