প্রতারক দৌলাতদিয়াড়ের শিপন আটক
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের (এসপি) স্বাক্ষর জাল করে মোটরসাইকেলের জরিমানা মওকুফ করাতে গেলে শিপন (২৬) নামের একজনকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। পরে ট্রাফিক পুলিশ বাদী হয়ে আটক হওয়া আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে সদর থানায় সোপর্দ করে। আটক শিপন দৌলাতদিয়াড় ফায়ার সার্ভিস পাড়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের অফিসে প্রতারণা করতে গেলে তাঁকে আটক করা হয়।
জানা যায়, দৌলাতদিয়াড় এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেন ও একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে ইমদাদুল হকের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় ট্রাফিক আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়। মামলাগুলো দেন চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস ও টিএসআই আমিরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে ইমদাদুল নামের ওই ব্যক্তির গত ২৭ ডিসেম্বর ও ২৬ জানুয়ারি পৃথক দুটি মামলা হয়। আর মোশারফ হোসেনের মামলাটি হয় গত ২৩ আগস্ট। ওই মামলাগুলোতে ধার্যকৃত জরিমানার টাকা পরিশোধ করে জব্দকৃত মোটরসাইকেলের কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলে ট্রাফিক পুলিশ। এ ঘটনায় জরিমানার টাকা মওকুফ করার কথা বলে কেস স্লিপগুলো নেন আটক শিপন। পরে কৌশলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষরও জাল করেন তিনি। তাতে শতভাগ জরিমানা মওকুফের কথাও লেখা হয় ইংরেজিতে। গতকাল জাল স্বাক্ষর করা ওই কেস স্লিপগুলো ট্রাফিক অফিসে বকসির কাছে জমা দেন তিনি। কেস স্লিপে করা এসপির স্বাক্ষর ও শতভাগ জরিমানা মওকুফ লেখার ধরণ সন্দেহ হলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর-৩ আহসান হবিব ও সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসকে ডাকেন ওই বকসি। টিআই আহসান হবিব ও সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস ট্রাফিক অফিসে এসে এসপির স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি বুঝতে পেরে দৌলাতদিয়াড় ফায়ার সার্ভিসপাড়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে শিপনকে আটক করেন। পরে ট্রাফিক সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বাদী হয়ে প্রতারণা মামলা করে আটক ওই আসামিকে সদর থানায় সোপর্দ করেন। আটক শিপনকে আজ আদালতে প্রেরণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বাদী ট্রাফিক সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, জাল স্বাক্ষর করা কেস স্লিপগুলো নিয়ে গতকাল ট্রাফিক অফিসে যান ওই প্রতারক। পরে ট্রাফিক অফিসে কর্তব্যরত ব্যক্তিদের সন্দেহ হলে তাঁকেসহ টিআই আহসান হাবিবকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, তিনটি কেস স্লিপে এসপির স্বাক্ষর ও শতভাগ জরিমানা মওকুফ লেখাটি জাল। এ সময় শিপনকে আটক করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।