চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামের মজিবপাড়ায় ৬ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। পরে গ্রাম্য সালিশে পিতা ফরাদ হোসেনকে নাকে ক্ষত দিয়ে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সালিশ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের মজিবপাড়ায় সুরুজ মোল্লার ছেলে ফরহাদ হোসেন এক সপ্তাহ আগে রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায় বলে তার স্ত্রী অভিযোগ তোলেন। পরেরদিন সকালে ফরাদের স্ত্রী বিষয়টি গ্রামের মাতব্বরদের জানিয়ে তার বাবার বাড়ি চলে যান। মেয়ের সাথে এহন আচরণ ভালোভাবে নেয়নি মা।
সিদ্ধান্ত নেয় ফরহাদের সাথে আর সংসার করবেন না। প্রথম দফার গ্রাম্য সালিশে ফরাদকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং একটি গরু এবং একটি ছাগলের বিনিময়ে ফরহাদের স্ত্রী তালাক নেন। পরে গত বুধবার রাতে গ্রাম্য সালিশে এমন জঘন্য অপরাধের জন্য ফরাদকে নাকে ক্ষত এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন মালেক মেম্বারের নেতৃত্বাধীন সালিশকারীরা।
ফরাদ ও তার স্ত্রী গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ফজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আপনার কাছ থেকেই শুনলাম বিষয়টি। যেহেতু এই বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি তাই জানা ছিল না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।