রানা আহম্মেদ (সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি)
এই সময় জামায়াতে আমির ডাঃ শফিকুল রহমানের আগমনে হাজারো নেতাকর্মীরা এই পথসভায় অংশগ্রহণ করেন, সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডাঃ শফিকুল রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
এই দেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে মাঠে ঘাটে কোন ধরনের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি চলবে না, বাংলাদেশে অবৈধ দখলদারি চলবে না, যে দেশে বাংলাদেশের ভিক্ষুকের কাছে ভিক্ষা করতে চাই, সেই ভিক্ষুককে আমরা চাই না, আমাদের প্রজন্মের সন্তান-সন্ততি যারা আছেন তারা যেন তাদের স্বপ্নের একটা বাংলাদেশ আগামীতে দেখতে পায়,২০২৪ সালের ১ই লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত দেড় হাজারও কমবেশি এদেশের ছাত্র জনতা শ্রমিক ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে, জীবন দিয়েছে শুধু একটা ভালো একটা বাংলাদেশ উপর দেওয়ার জন্য, একটা নতুন বাংলাদেশের দেখার জন্য, যে বাংলাদেশে প্রতিটি অফিস আদালতে মিল ফ্যাক্টরি কর্পোরেশন কলকারখানা হবে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ।
যে মানুষ যেখানে উপযুক্ত সেখানে তাকে বসাতে দিতে হবে, এই দেশে যিনি শিল্পের মালিক তাকেও শিল্পের কাজে সাহায্য করতে হবে, মালিকপক্ষের কাছ থেকে শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেও উপযুক্ত মজুরি ও পরিশোধ করতে হবে, মালিক শ্রমিক পরস্পরের বিরোধী হবেনা, পরস্পরের কল্যাণকর হবে, এভাবে শিল্পও বাঁচবে শ্রমিকও আসবে, তাহলে আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো ইনশাল্লাহ, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই এদেশের কৃষকেরা তাদের ঘাম ঝরানোর আগে ন্যায্য মূল্যে মালামালের দাম পাই, কখনো মাথায় হাত দিবে না লস যেন না হয়, বরং সরকারি উপযুক্ত ন্যায্য মূল্যে মাঠে ময়দানে উপযুক্ত কৃষিজাত দ্রব্য যন্ত্রপাতি মাধ্যমে আধুনিক যন্ত্রপাত ব্যবহার করবে, সেখানে উৎপাদন বাড়ানোর ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, এখানে উৎপাদন হবে কম তবে শিল্পের উৎপাদন হবে বেশি এবং মুনাফা হবে বেশি,যে সকল ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ, তাদেরকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে, তাদের রক্তের অধিকার দিতে হবে, সাড়ে ১৭ বছর মানুষ অগ্রধিকার পায়নি, এছাড়াও যারা আহত রয়েছে তাদেরকে সকল ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে সেই সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে, দেশে হোক বিদেশে হোক তাদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যে কাজ রয়েছে, সে কাজগুলো আমরা করতেই থাকবো এমনই বক্তব্য রাখেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জামায়াতে আমির রুহুল আমীন, সহকারী সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডঃ মাসুদ পারভেজ রাসেল, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা থানার নায়েবে আমির আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নায়েবের আমির বিল্লাহ হুছাইন, সেক্রেটারি গোলাম রসূল। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নায়েবের আমির আব্দুল কাদের মল্লিক, ও নায়েবের আমির আব্দুল জব্বার, ঝিনাইদহ সদর থানার নায়েবে আমির মিজনুর রহমান, মেহেরপুর জেলা আমির তাজউদ্দীন খান।
কুতুবপুর ইউনিয়ন আমির খবির উদ্দীন, ইউনিয়ন জামায়াতে অডিট সভাপতি রবিউল ইসলাম, সেক্রেটারি মহরম মুন্সি, ইউনিয়ন সহ সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক তারিফুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইউনিয়ন সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ, সহ হাজারোও জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালিদুর রহমান সহ পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতে আনা হয়েছে।