চিলি অয়েল সাধারণত চাইনিজ খাবারে বেশি ব্যবহার করা হয়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এই তেলের ব্যবহার হয়ে থাকে। শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে নয় এই তেলের রয়েছে নানা গুন। খুব অল্প সময় এবং পরিশ্রমে এই তেল তৈরি করা সম্ভব।
চিলি অয়েল তৈরি করতে দরকার হয় শুকনা মরিচ, মরিচের গুড়া,তেল আর তিল। শুকনা মরিচ,মরিচের গুড়া আর কাচা তিলের ভিতর ফুটন্ত তেল ঢেলে তৈরি করা হয় এই মুখরোচক উপাদানটি।
মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান যা শরীরের জন্য উপকারি। মরিচের ভিতরের অংশের জন্য অনেকে পেটের সমস্যায় ভোগেন। তাদের জন্য চিলি অয়েলের ব্যবহার সহজেই এই সমস্যার সমাধান দেবে।
চিলি অয়েলের উপকারিতা-
১) চিলি অয়েলের মধ্যে ‘ক্যারোটিনয়েড’ এবং ‘ক্যাপসাইসিনয়েড’-এর মতো উপাদান রয়েছে। উপাদান দুইটি মূলত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরে ফ্রি র্যাডিকেলের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও নিয়ন্ত্রণে রাখে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে থাকলে ক্যানসারের মতো রগ প্রতিরধ করা সম্ভব।
২) ‘ক্যাপসাইসিন’ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিও। এটি শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা চিলি অয়েল বা ‘ক্যাপসাইসিন’ আছে এমন মরিচ বেশি খান তাদের প্রদাহজনিত বহু সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং হার্ট ভাল রাখতেও এই অয়েলের ভূমিকা রয়েছে।
৩) ক্যাপসাইসিন শরীরে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে।
৪) মস্তিষ্কে ব্যথার সঙ্কেত প্রেরণকারী স্নায়ুগুলিকে অকেজো করে দিতে পারে এই চিলি অয়েল। ফলে ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে প্রাকৃতিক ‘পেনকিলার’-এর মতো কাজ করে এই উপাদান।
৫) টানা ১২ সপ্তাহ অর্থাৎ প্রায় মাস তিনেক চিলি অয়েল খেলে ওজনে হেরফের বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন’ । মরিচ ওজন কমাতে সাহায্য করে।
রান্নায় চিলি অয়েলের ব্যবহার
মোমোর সস হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই চিলি অয়েল। এছাড়া নুডুলস,স্যুপ, মাছ মাংস ম্যারিনেট করতে চিলি অয়েল ব্যবহার করা হয়। অনেকে পাস্তাতেও এই তেল ব্যবহার করেন।
তবে বেশি চিলি অয়েল খাওয়াও ভাল নয়। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, চিলি অয়েল খেলে তাদের সমস্যা বাড়তে পারে। বেশি পরিমাণে এই তেল খেলে পাকস্থলীতে ঘা বা ক্ষতও হতে পারে। সূত্র: আনন্দবাজার