নিউজ ডেস্ক:
সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) অর্থায়নে পরিচালিত এক উচ্চাভিলাষী গবেষণার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েেছে, আর মাত্র এক দশকের কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই মানুষ চাঁদে বসবাসের সামর্থ্য অর্জন করতে পারে। যদিও যুগে যুগে ধরে মানুষ কল্পনা করেছে চাঁদে যাওয়ার এবং সেখানে বসতি গড়ে তোলার। কালক্রমে প্রথমটা সম্ভব হলেও, দ্বিতীয়টা অসম্ভব বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে। এর মূল কারণ অবশ্যই চাঁদের আবহাওয়া। কিন্তু সম্প্রতি এমন এক বিষয়ের খোঁজ পাওয়া গেছে, যাতে চাঁদে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
৪৮ বছর আগে মানুষ চাঁদের মাটিতে পা রাখলেও, এখনও পর্যন্ত কেউ তিন দিনের বেশি থাকতে পারেননি। কারণ পৃথিবীর মতো চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই, সূর্যের খর তাপ রোধকারী চৌম্বক ক্ষেত্রও নেই। মহাকাশচারীদের স্পেসস্যুট সাময়িকভাবে কাজে আসতে পারে। কিন্তু তা কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।
আন্তর্জাতিক এক বিজ্ঞান-ওয়েবসাইটের খবর মোতাবেক, জাপানের একটি স্পেস এজেন্সি ‘JAXA’ এ বিষয়ে আলোকপাত করেছে। এই সংস্থার বিজ্ঞানীরা চন্দ্রপৃষ্ঠে এক সুবিশাল লাভা টিউবের সন্ধান পেয়েছেন, যার আয়তন একটি শহরের সমান।
‘JAXA’-র বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ নামের জার্নালে।
সংস্থার পক্ষ থেকে গবেষক জুনিচি হারুয়ামা জানিয়েছেন, এই ধরনের লাভা টিউব চাঁদে মনুষ্য বসতির সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। গলম লাভা ঠান্ডা হয়েই এমন টিউবের সৃষ্টি হয়। যে পথ বেয়ে লাভা নির্গত হয়, সেটি থেকে লাভা নিঃসরণ সমাপ্ত হলে টিউবের ভিতরে লেগে থাকা লাভা ঠান্ডা হয়ে গিয়ে এক সুরক্ষা-বলয় তৈরি করে, যা প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে পারে।