এর আগে রাতে ইজারাদারের বালু তোলার এক্সকাভেটরে (ভেকু) একটি বোমা বিস্ফোরক ঘটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গড়াই নদ খনন করা বালু অপসারণের ইজারা নেওয়া মো. জাহিদুল হোসেন লিটু দাবি, চাঁদা না দেওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে বালু তোলায় বাঁধা সৃষ্টি করছে। রাতে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত ককটেল বিস্ফোরক ঘটিয়ে পাঠিযে যায়। পরে পুলিশ এসে আরো ককটেল ও পেট্রোল জব্দ করে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে তিনি ৫টি পরিত্যাক্ত ককটেল ও কিছুটা পেট্রোল উদ্ধার করেছেন। একটি বোমা বিস্ফোরকের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙা মৌজায় গড়াই নদ খনন (ড্রেজিং) করা বালুর স্তূপ অপসারণের জন্য সরকারিভাবে ইজারা দিয়েছে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ২০ শতাংশ ভ্যাট ও আয়কর বাদে প্রায় ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকায় বালু অপসারণের ইজারা নয়ে কুষ্টিয়ার মো. জাহিদুল হোসেন লিটুর মালিকানাধীন পিয়াংকা ব্রিকস। আগামী তিন বছরের মধ্যে বালু অপসারণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইজারাদারের কাছে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না পেয়ে তারা বালু তোলায় নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতে বালুরঘাটে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরক করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ককটেল ও চার লিটার পেট্রোল জব্দ করেছে পুলিশ।
কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রামপুলিশ সদস্য প্রদীপ জানান, তিনি রাতে বোমা বিস্ফোরকের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন। পাঁচটি ককটেল দেখে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
ইজারাদার মো. জাহিদুল হোসেন লিটু জানান, ২০ শতাংশ ভ্যাট ও আয়কর বাদে পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকা দিয়ে তিনি পাউবোর কাছ থেকে বালুর স্তুপ ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা চাঁদা না পেয়ে তাকে বালু অপসারণের নানান প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করছে। গত রাতে তার ভেকুতে বোমা বিস্ফোরক করেছে দুর্বৃত্তারা। তিনি থানায় মামলা করবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, তিনি মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।