নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার নান্দবারে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে লাঞ্চিত হয়েছে কথিত তিন সাংবাদিক। গাংনী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সেলিম রেজা সেন্টুর পুকুরপাড়ে কথিত ওই সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ তুলে চাঁদা দাবি করলে স্থানীয়রা কথিত তিন সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে সড়কে বালি ভরাট কাজ চলছে। একই ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সেলিম রেজা সেন্টু কয়েকদিন যাবত মাটি ভরাটের কাজ করছেন। হঠাৎ গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনজন ব্যক্তি নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসমানখালী-হাঁপানিয়া সড়কের নান্দবার গ্রামের খুনপাড়া নামক স্থানে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের বলেন- ‘আপনারা অবৈধভাবে মাটি কাটছেন কেন? এখানে আর মাটি কাটা যাবে না। ডিসি অফিস থেকে মাটি কাটা নিষেধ করা হয়েছে।’ এই কথা শুনে শ্রমিক ও স্থানীয়রা মাটি কাটা কিছুক্ষণ বন্ধ করে দেয় এবং গাংনী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সেলিম রেজা সেন্টুর কাছে ফোন করে।
পরে এ ঘটনায় ওই স্থানে স্থানীয়দের ভীড় জমে যায়। তখন গাংনী ইউনিয়নের ফুলবগাদি গ্রামের শাহিন ওরফে শেখ মিমন নিজেকে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ওখান থেকে কৌশলে পালিয়ে দৈনিক স্বদেশ পত্রবর্ণ পত্রিকাসহ বহুমুখী পত্রিকার কথিত সাংবাদিক সজিব আকবর ও ক্রাইম নিউজ-২৪ ডট নেটের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন গাংনী ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে আসে। পরে নিজেদের ভুলের জন্য গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের আবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে এলাকা ত্যাগ করেন কথিত দু’জন সাংবাদিক।
এবিষয়ে গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের আবু জানান- তারা কেন কাজ বন্ধ করে চাঁদা দাবি করলো এবিষয়ে জানতে চাইলে কথিত দুইজন সাংবাদিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। পরে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে দুইজন বিদায় নেয়।