চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে পুলিশের পৃথক মাদকবিরোধী অভিযান
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া এ আসামিদের নিকট থেকে ৩০ গ্রাম গাঁজা ও ৯টি গাঁজার গাছ, ৫ লিটার তাড়ি, ২ বোতল মদসহ ৮২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার হওয়া এসব মাদক ব্যবসায়ী ও মাতালের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গতকালই আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাকিদের আজ আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া এ আসামিদের নিকট থেকে ৩০ গ্রাম গাঁজা ও ৯টি গাঁজার গাছ, ৫ লিটার তাড়ি, ২ বোতল মদসহ ৮২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার হওয়া এসব মাদক ব্যবসায়ী ও মাতালের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গতকালই আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাকিদের আজ আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানতে পারে, দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া এলাকায় একজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ে অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন-অর-রশিদ পিপিএমের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আলী ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রোকন উদ্দীন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে একই এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে শফিকুল ইসলামকে (৩৬) আটক করেন। এ সময় গ্রেপ্তার আসামির কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৭২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। একই দিন চুয়াডাঙ্গা শহর ফাঁড়ি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই মুহিতুর রহমান ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাগানপাড়ায় অভিযান পরিচালানা করেন। অভিযানের ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ বাবুকে (২৯) তাঁর শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া বাবু চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের গোরস্থান পাড়ার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। এ ছাড়াও হিজলগাড়ী ফাঁড়ির পুলিশ দুই মাতালের মাতলামির সংবাদ পেয়ে পৃথক সময়ে দোস্তের বাজার ও হিজলগাড়ী বাজার এলাকা থেকে ওই দুই মাতালকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া দুই মাতালের একজন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার বিতলডাঙ্গা গ্রামের তোফাজেল বিশ্বাশের ছেলে রিকুল বিশ্বাস (৪৫), অপরজন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের জয়নুল আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫)। এদিকে, দামুড়হুদা থানার পুলিশ পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ লিটার তাড়ি ও দুই বোতল ভারতীয় মদসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। দুই বোতল মদসহ গ্রেপ্তার হওয়া আসামি হলেন দামুড়হুদা মুন্সিপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে জিনারুল ইসলাম। অপর দিকে, পাঁচ লিটার তাড়িসহ গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন দামুড়হুদা জয়রামপুরের মৃত মগবুল মিয়ার ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৪২), মৃত মাদার ম-লের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), আবু বক্করের ছেলে খায়রুল ইসলাম (৩৮), আব্দুল কাদেরের ছেলে সুমন আলী (২৫) ও পিণ্টু হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৫)। এ ছাড়াও তারিনীপুরের ফজলুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে সরজ আলীকে (৩৮) আটক করা হয়। অপর দিকে, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম গাঁজাসহ গোবিন্দপুরের বিশারতের ছেলে সুজন আলী (২৬) ও প্রাগপুরের সামাদ হোসেনের ছেলে আলা হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়াও জীবননগর থানা পুলিশ হাসাদাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ গ্রাম গাঁজা ও ৯টি গাঁজার গাছসহ হাসাদাহ গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে সোপর্দ করে। জানা গেছে, গ্রেপ্তার এসব ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে গতকালই আদালতে প্রেরণ করে থানার পুলিশ। এ ছাড়াও বাকিদের আজ আদালতে প্রেরণ করা হতে পারে বলে জানায় পুলিশ।