জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
গর্ভবতি না হয়েও নিয়মিত মাতৃত্বকালীন ভাতা উঠছে নার্গিস বেগমের। তবে তিনি এই টাকা পান না। এলাকার মহিলা মেম্বর শাবানা খাতুন ভাতাভোগী নার্গিস বেগমের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেন। এ ভাবে ২০১৮ সাল থেকে দুই বছর ধরে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা তুলে খাচ্ছেন মহিলা মেম্বর। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কয়ারগাছি আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত নার্গিস বেগম এক সন্তানের জননী। দুই বছরের মধ্যে তিনি সন্তান সম্ভবা হন নি। তার স্বামীর নাম গোলাম রহমান। অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে ঝিনাইদহ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কোন উচ্চ বাচ্য নেই। রবং তারা মাসের পর মাস ভাতা বাতিল না করে এই অতৈনিক কাজে সহায়তা করে যাচ্ছেন। সন্ধান নিলে হয়তো নার্গিস বেগমের মতো অনেক নারী গর্ভবতি না হয়েও মাতৃত্বকালীন ভাতা তুলে নিচ্ছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, অনলাইনে আবেদন করার পর কোন তদন্ত করা হয়নি। নার্গিস বেগম জানান, তিনি টাকা তুলে মহারাজপুর ইউনিয়নের ৩ নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বর সাবানা খাতুনের হাতে দেন। প্রতিবার টাকা উত্তোলনের সময় তিনি পান ৫০০ টাকা করে। বাকী টাকা মহিলা মেম্বর নিয়ে নেন। মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, নার্গিস বেগম গর্ভবতি ছিলেন, কিন্ত তার বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রমান নার্গিস বেগম দেখাতে পারেনি। তবে মহিলা মেম্বর শাবানা খাতুনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোরন করা হলে তিনি ফেঅন রিসিভ করেন নি। এ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা খোন্দকার শরিফা আক্তার বলেন, গর্ভবতি না হয়ে কেও ভাতা তুলতে পারেন না। এটা অন্যায়। হয়তো গাফলতির কারণে এমনটা হতে পারে। তদন্ত করে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।