নিউজ ডেস্ক:
এদিকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, দেশে করোনাকালীন সময়ে বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা-কর্মীরাই যার যার ঘরে অবস্থান করেছেন। তারা দেশের এই দুঃসময়ে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো কয়েক দফায় দলের সব কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। নেতাদের দায়িত্বহীনতার কারণে শত শত বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা আজ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপি একটি বড় দল হলেও তারা রাজনৈতিক কৌশল এখনো রপ্ত করতে শেখেনি।
তারা আরো বলেন, বিএনপি শিখেছে প্রতিহিংসা আর সমালোচনার রাজনীতি। দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে তারা নিজেরা কোনো উদ্যোগ না নিয়ে শুধু সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত থেকেছে।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী ও বিশ্লেষকরা বলেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগে একটি বড় দল হিসেবে বিএনপির কাছে জনগণের প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি কতটুকু ভূমিকা পালন করেছে, তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ?
তারা বলেন, করোনাকালীন সময়ে বিএনপি তাদের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রেখে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। একটা বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে কখনো তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এ সময়ে তারা মাঠে না থেকে শুধু অনলাইন-টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশের বিরোধী দল ঘরের মধ্যে বসে অনলাইনে যুক্ত হয়ে টেলিভিশনের উঁকি দিয়ে কথা বলে। তারা ঘর থেকে বের হয় না। উঁকি দিয়ে কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা একদিনও বসে ছিলাম না। জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আমাদের দলের অনেক নেতা, এমপি ও মন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা জানি, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে কি হতে পারে! সেটি মাথায় রেখে কাজ করছি। সংকট মোকাবিলায় জনগণের পাশে থাকতে শেখ হাসিনা আমাদের এমন শিক্ষা দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।