নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, এক বছর পর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন- বিএনপির যেসব নেতারা এসব কথা বলছেন, তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। এ স্বপ্ন বাংলার মাটিতে বাস্তবে রূপ নেবে না। কারণ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার কোন সুযোগ নেই। তিনি গণধিকৃত নেত্রী। ক্ষমতায় থাকতে এতিমের টাকা মেরে খায়, কালো টাকা সাদা করে। তার সন্তান সরকারের ভেতরে আরেকটি সরকার সৃষ্টি করে দেশের অর্থ লুটপাট করে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ধানমন্ডিতে চট্রগ্রামের স্বন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশ পিছন দিকে যায়। রাষ্ট্রীয় মদদে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। দেশের অর্থ লুটপাট করে সংকটের দেশে পরিণত করে। আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে আগুন সন্ত্রাস করে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। কাজেই দেশের মানুষ আর কখনোই বিএনপি নেত্রীকে চায় না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে। আজকে দেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া জঙ্গিনেত্রী, আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী। অন্যদিকে শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী। মানুষ দেশে উন্নয়ন চায়। বিগত দুই মেয়াদে দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে যে আস্থা নিয়ে ভোট দিয়েছিল, সে আস্থা পূরণ করেছে। একাদশ নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকে বেছে নেবে বলেও মনে করেন তিনি।
তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ দিয়ে চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ঐক্যবদ্ধ থাকে, তখন কেউ পরাজিত করতে পারে না। বিগত দুই মেয়াদে তার প্রমাণ। আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনেও অতীতের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে-আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলেই দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এই চাকাকে সচল রাখতে হলে তৃতীয় মেয়াদে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। এজন্য সব ভেদাভেদ ভুলে প্রত্যেক নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজুল রহমান হক মিতা এমপি, সন্দ্বীপ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দীন মিশন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নেসা জেসি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাস্টার আবুল হোসেন, মাস্টার শহীদুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান বেলাল, মিজানুর রহমান মিজান, সিদ্দিকুর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, আবু তাহের, শাহেদ সরোয়ার শামীম, জামিল ফরহাদ প্রমুখ।