নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘রমজানে ইফতারের আগে মানুষ আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও শান্তির জন্য দোয়া করেন। আর খালেদা জিয়া ইফতারকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন, মিথ্যাচার করছেন। চট্টগ্রামের পাহাড় ধসের ঘটনা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন কুৎসিত কথাবার্তা বলে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের বাজেট অধিবেশনে সোমবার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, পাহাড়ের ঘটনার পরপরই সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে সেখানকার জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। অথচ খালেদা জিয়া বলেছেন, ভূমিধসের সময় আমাদের প্রধানমন্ত্রী নাকি প্লেজার ট্রিপে সুইডেন গিয়েছিলেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার খালেদা জিয়া কীভাবে একটি রাষ্ট্রীয় সফরকে প্লেজার ট্রিপ হিসেবে অভিহিত করেন? এ ধরনের মন্তব্য ‘মূর্খতার’ শামিল বলে জনগণ মনে করে।
হানিফ আরও বলেন, প্লেজার ট্রিপ কী? সেটা কি খালেদা জিয়া জানেন না? আসলে তার জানার কথাও নয়। কারণ সেই সময় তো তিনি পাকিস্তানি সেনাবহিনীর সঙ্গে ছিলেন। উনি সেই সময় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানের সেনাদের সঙ্গে প্লেজার ট্রিপে ছিলেন। তার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সম্পর্কে জানার কথাও নয়। তার দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই বলেই আজকে এ ধরনের মতপ্রকাশ করছেন। খালেদা জিয়ার সমস্ত দেশপ্রেম আবেগ অনুভূতি প্রেম মহব্বত পাকিস্তানে রয়ে গেছে। যার কারণে তিনি এ ধরনের কথা বলতে পারেন।
সরকার সম্পর্কে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার বন্ধ করতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় সরকার প্রতিটি দুর্যোগ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করছে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা করছে। পার্বত্য এলাকায় ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড় মোরা ও হাওর অঞ্চলে আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে যা কিছু করা দরকার সরকার অবশ্যই তা করবে।
এসময় আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ৪ দিন পরে তিনি সেখান যান। উনি বলেছিলেন ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল তত মানুষ নাকি মারা যাননি। দেশবাসী এ কথা ভুলে যাননি। ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় দুই লাখ মানুষ প্রাণ হারানোর পরেও খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য করে প্রমাণ করেছিলেন দেশের জনগনের প্রতি তার কোনও দায়িত্ব নেই। জনগণের প্রতি তার কোনও মায়া-মমতা নেই। সেই খালেদা জিয়া আজ আমাদের ওপর দোষারোপ করতে আসেন।
প্রধানমন্ত্রীর সুইডেনে সরকারি সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশর স্বাধীনতার পরে ইউরোপিয় দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সুইডেন আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিলো। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের আমন্ত্রণে তিনি এই সফরে যান। সুইডেনে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরটি ছিল বাংলাদেশের কোন সরকার প্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।