করোনাভাইরাস এখন আছে। বিভিন্ন দেশে রূপ বদলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এ ভাইরাস। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব জর্জরিত এ মহামারিতে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ লাখের মতো মানুষের প্রাণ গেছে করোনাভাইরাসে। এরই মধ্য এবার চীনে খোঁজ মিলল আরও একটি ভাইরাসের। ‘ল্যাংগায়া’ হেনিপাভাইরাস (লেভি) নামের এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন। চীনের হেনান এবং শানডং প্রদেশে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা গেছে।
মানুষের শরীর থেকে প্রাণীদের মধ্য এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়। চীন, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের এক গবেষণা এমনটাই বলা হয়েছে। এ গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে আমেরিকার ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ। তবে গবেষকেরা দেখেছেন মানুষ থেকে মানুষের মধ্য এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত কেউ সংক্রমিত হয়নি।
জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত মানুষের গলায় এ ভাইরাস আক্রমণ করে বলে জানা গেছে।
এর আগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ল্যাংগায়া ভাইরাসটি ২০১৯ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তবে এ বছর এ ভাইরাস সর্বোচ্চ ব্যক্তি আক্রান্ত হলেন।
এ ভাইরাস সংক্রামক কি না, একজনের থেকে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন চীনা গবেষকেরা। বেজিং ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড এপিডেমিওলজির গবেষকরা বলছেন, এ ভাইরাসের ক্ষেত্রে মূল উপসর্গ জ্বর। তা ছাড়া কাশি, ক্ষুধামান্দ্য, পেশির ব্যথ্যা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা এবং বমির মতো উপসর্গও লক্ষ করা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে।
গবেষণায় জড়িত সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলের ইমার্জিং ইনফেকসাস ডিজিজ প্রোগ্রামের অধ্যাপক ওয়াং লিনফা, এখনো পর্যন্ত এ ভাইরাস মারাত্মক বা খুব গুরুতর কিছু নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। নিপাহ ভাইরাসের পরিবারেরই সদস্য এ ল্যাংগায়া ভাইরাস।
তথ্যসূত্র: দ্য গ্লোবাল টাইমস ও দ্য স্ট্রেইট টাইমস