নিউজ ডেস্ক:
কোন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যেন জাতীয় শোক দিবসের পরিবেশ বিনষ্ট না হয় এবং চিরায়ত ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের মূল্যবোধ যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহষ্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দলের কর্মসূচি নির্ধারণে এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর আদর্শে দেশ গড়ার মহান ব্রতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পটভূমিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালনের জন্য দেশবাসীকে আহবান জানান তিনি।
একই সাথে ওবায়দুল কাদের দেশের সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিও জাতীয় শোক দিবস পালনের আহবান জানান।
সততা,সফলতা এবং সাহসিকতার সাথে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপস্থিত সবার পক্ষে ধন্যবাদ জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।
জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, ১৫ আগস্ট সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল ৮টায় ৩২, ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ৮ টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনসহ ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের অয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ মহানগরের প্রতিটি নেতাকর্মীরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়া সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে৷ উক্ত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল, গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।
আওয়ামী লীগ-এর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক, এস. এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি ও এডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এড. এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনিসুর রহমান।
এছাড়াও জাতয়ি শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সুবিধামত সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন করা হবে।
এছাড়া সভায় কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অস্বচ্ছল, এতিম ও দুঃস্থ মাঝে খাদ্য বিতরণের পাশাপাশি বন্যা দুর্গত এলাকায় দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।
শোক দিবস উপলক্ষ্যে পোস্টার, ব্যানার, তোরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ই আগস্টে সকল শহীদ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ব্যতীত আত্মপ্রচারের লক্ষ্যে কোন ব্যক্তির ছবি ব্যবহার না করার জন্য ওবায়দুল কাদের সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
এর আগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান,তথ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম-সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ এমপি, ডা. দীপু মণি এমপি ও আ. ফ. ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, এস. এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এড. এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার ও আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।