নিউজ ডেস্ক:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সরকারের শেয়ারের পরিমাণ কম হওয়ায় সরকারের পক্ষে ইসলামী ব্যাংককে ঢেলে সাজানো বা কোন বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের চতুর্দশ ও মীতকালীন অধিবেশনে গতকাল রবিবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলীয় সদস্য সেলিম উদ্দিনের (সিলেট-৫) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. বেসরকারি খাতের একটি লিমিটেড কোম্পানি। ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিটির মালিক। শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক নির্বাচিত পরিচালকরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামী ব্যাংকে সরকারের শেয়ার মাত্র শূন্য দশমিক ০০১৩ শতাংশ হওয়ায় ব্যাংকের কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর জন্য সরকারের পক্ষে কোন বিশেষ প্রদক্ষেপ বা কর্মসূচি গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
কোন দেশকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া হয়নি : নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধায় কোন দেশকে এখনও পণ্য পরিবহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান প্রটোকল অন ল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট এন্ড ট্রেড চুক্তির আওতায় ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় ভারত থেকে পণ্য পরিবাহিত হয়।
২ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা কম রেমিট্যান্স এসেছে ব্যাংকিং চ্যানেলে: আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিমের (মাদারীপুর-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকার সমপরিমাণ বিদেশী রেমিট্যান্স এসেছে, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা কম।
মশুল হক চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১২) অপর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থপাচার রোধে বর্তমানে বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ বলবত রয়েছে, যা গত ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ সংশোধিত হয়। এ আইনের বিধান অনুসারে আমদানির ক্ষেত্রে অতিমূল্যায়ন, রপ্তানির ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন অথবা কোন অসম চুক্তির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাঠালে বা দেশে আনয়নযোগ্য অর্থ বিদেশে রেখে দেওয়াও অর্থ পাচার হিসেবে গণ্য করা হয়।