চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় ধান কিনতে কৃষকের দুয়ারে ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস
সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা
নিউজ ডেস্ক:গ্রামে গ্রামে গিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে বোরো ধান কিনছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। গতকাল বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা কালিদাসপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তিনি কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বেশ কয়েক টন ধান কেনেন। এ কার্যক্রম এখন চলমান থাকবে জানিয়ে এ সময় তিনি ন্যায্যমূল্যে সরকারের কাছে (খাদ্য গোডাউনে) সরাসরি ধান বিক্রয়ের আহ্বান জানান কৃষকদের। গ্রামের কৃষকদের মধ্যে কয়েকজন বাড়ি উঠানেই তাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ পান। এতে উচ্ছ্বসিত প্রান্তিক কৃষক পরিবার।
আশাদুল হক নামের সরকারি কার্ডধারী এক কৃষক বলেন, ‘সকাল থেকে শুকানো ধান ঝাড়ছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন আমার বাড়িতে আসলেন। পরে শুনলাম জেলা প্রশাসকসহ কয়েকজন আমাদের কাছ থেকে ধান কিনতে এসেছেন। তারপর আমি সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশের ধানচাষীরা বাজারে ধানের এমন মূল্য পেলে উপকৃত হতেন। সব জায়গায় যদি এভাবে ধান কেনা হয়, তাহলে চাষীরা অনেকটা লাভের মুখ দেখবেন।’
তবে প্রান্তিক অনেক কৃষকের কৃষিকার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় ধান বিক্রি করতে পারছেন না। এতে কৃষকরা ধান বিক্রিসহ কৃষির অন্যান্য খাতে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও জানান কৃষকরা।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, ‘কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসন সব সময় তৎপর থাকবে। আমি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার তদারকি করব। কোনো ব্যবসায়ী কৃষক সেজে ধান বিক্রির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের কৃষিকার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ব্যাংককে তাগিদ দেয়া হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম, স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাসরুর নিউটন এবং জনপ্রতিনিধিরা।