নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির সাফাই দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, কূটনীতি ও বাণিজ্য একসঙ্গেই চলবে। দ্রুত সময়ে চাল আনা যাবে বলে মিয়ানমার গিয়েছি।
মাত্র তিন দিনের মধ্যে সেখান থেকে চাল আনা যাবে। ভিয়েতনাম থাইল্যান্ড থেকে চাল আনতে জাহাজ আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন লেগে যায়। ফলে এক্ষেত্রে দামও তুলনামূলকভাবে কম হবে। তবে দাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে রবিবারের প্রশ্নোত্তর পর্বে নাজমুল হক প্রধানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চলমান রোহিঙ্গা সংকটের সময় মিয়ানমার সফর নিয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েই আমি মিয়ানমার গিয়েছি। তিনি বলেছেন, একদিকে ট্রেড চলবে। অপরদিকে কূটনীতিক তৎপরতাও চলবে।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী আরো জানান, মিয়ানমার থেকে তিন লাখ টন চাল আনার চুক্তি হয়েছে। প্রথম চালানে এক লাখ ২০ হাজার টন চাল আসবে। এর মধ্যে একশ টন সিদ্ধ চাল ও ২০ টন সাদা আতপ।
এর আগে অপর এক সম্পূরক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, চালের কোন সংকট নেই। চালের দামও স্থিতিশীল আছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে। এসময় তিনি আরও বলেন, আপনারা চালের দাম নিয়ে ভোক্তাদের স্বার্থে যেমন কথা বলছেন, সেটা ভালো। একইভাবে যদি আপনারা চাল উৎপাদনকারীদের স্বার্থের বিষয়টাও বিবেচনায় নিবেন বলে আশা করি। কারণ চাল উৎপাদনকারীরা উৎপাদন খরচ উঠাতে না পারলে তারা আর ধান উৎপাদন করবে না।