নিউজ ডেস্ক:
অফিসের আদব-কায়দা বুঝিয়ে দেয় আপনার পেশাদার জীবনের পরিচয়। কীভাবে নিজেকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন, এমন আরও অনেক কিছু বিষয় কাজের জগতে বেশ চ্যালেঞ্জিং।
আপনার বিনয় এবং শ্রদ্ধাপূর্ণ ব্যবহারই আপনাকে দেবে মর্যাদা। কর্মক্ষেত্রে অন্যান্য কর্মীদের থেকে যোগ্য সম্মান আদায় করে নেওয়াটা আপনার ব্যবহারেই লুকিয়ে থাকে। তাই অফিসে ঠিক কী কী করবেন, আর কী কী করবেন না, তা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই কিছু টিপস-
প্রথম দর্শন:
কথায় বলে ফার্স্ট ইমপ্রেশন ইজ দ্য লাস্ট ইমপ্রেশন। তাই এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমদিনই আপনার স্বভাব, আচরণ অন্যদের পছন্দ হয়ে গেলে পুরনোদের সঙ্গে মিশে যাওয়াটা বেশ সহজ হয়ে যায়। তার জন্য কী করবেন? কখনই অফিসে চিউইংগাম খাবেন না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে অফিসে আসুন। কাজের জায়গা পরিষ্কার রাখুন। শুরুতেই অযথা তর্কে-বিতর্কে জড়াবেন না।
সততা ও মর্যাদা:
সততা ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে হবে। তার ফল নিশ্চয়ই ইতিবাচক হবে।
অফিসে উপযোগী পোশাক পরুন:
আপনি কোন পেশায় আছেন, সেই অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন। আর পোশাক পরিষ্কার হওয়া বাঞ্ছনীয়। কুঁচকে থাকা জামা-কাপড় একেবারেই পরবেন না। অবশ্যই ইস্ত্রি করবেন। এতেও আপনার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে।
সুগন্ধী ব্যবহার:
বেশি উগ্র নয়, হালকা পারফিউম ব্যবহার করুন। এমন পারফিউম ব্যবহার করবেন না, যাতে অন্যদের অসুবিধে হয়। হাঁচি বা কাশতে গেলে অবশ্যই টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ ঢেকে নিন।
সহকর্মীকে সম্মান:
পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অন্য সবাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। অন্য কেউ কথা বললে তার মাঝে কথা না বলার চেষ্টা করুন। যদি বলতেই হয়, অবশ্যই নিজেকে এক্সকিউজ করে নেবেন। স্পষ্ট করে নম্রভাবে কথা বলুন। কখনওই চেঁচামেচি করবেন না। সহকর্মীর সঙ্গে তর্ক হলেও কখনওই ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। পাশাপাশি অন্য কারও ঘরে ঢোকার আগে দরজায় অবশ্যই জিজ্ঞেস করে ঢুকবেন।
বাকিদের প্রশংসা:
আপনার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন, সারাদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে তাঁরাও ধীরে ধীরে বন্ধু স্থানীয় ও আপন হয়ে ওঠেন। তাই মাঝেমধ্যে তাঁদের কাজের প্রশংসা করলে ভাল লাগবে। তবেই তাঁরা আপনার প্রশংসা করবেন।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন:
শুধু অফিস ম্যানার্স বলে নয়, মানবিকতার খাতিরেও সবসময় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকা ভাল। চেষ্টা করুন কো-অপারেটিভ হতে।
সৌজন্যমূলক ভাষা ব্যবহার করুন:
আপনি যে ক্ষেত্রেই কাজ করুন না কেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’, ‘প্লিজ’, ‘ইউ আর ওয়েলকাম’-এর মতো সৌজন্যমূলক শব্দগুলি ব্যবহার করতেই পারেন।
সহকর্মীদের সমালোচনা:
এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন, সমবেদনার সঙ্গে সমালোচনা করুন। সহকর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা করবেন না। কোনো সহকর্মী ফোনে ব্যস্ত থাকাকালীন কিছু বলার থাকলে, তাঁর ঘাড়ের কাছে না দাঁড়িয়ে একটা নোট রেখে দিন।
সেক্সিস্ট কমেন্ট:
কোনো ধরনের সেক্সিস্ট মন্তব্য করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতেই পারে।
সবজান্তা হবেন না:
অন্যরা কোনো পরামর্শ দিলে শুনুন। আর নিজে সব বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা না করাই ভাল।
ভুল স্বীকার:
নিজের ভুলের দায়িত্ব নিন। অন্যের উপর তা চাপানোর চেষ্টা করবেন না। ভুল করলে তা মেনে নিন। নিজের ভুল স্বীকার করার মধ্যে কোনো হীনমন্যতা নেই।
তর্ক নয়:
বস যখন কোনো কিছু নিয়ে সমালোচনা করছেন, তখন তা নিয়ে তাঁর সঙ্গে তর্ক-বিবাদ না করে একবার ভেবে দেখুন কেন এমন বলছেন তিনি।
নতুনদের সম্মান:
নতুন কেউ কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে তাঁকে স্বাগত জানান। সবসময় নিজেকে ব্যস্ত দেখাবেন না।
মিটিংয়ের ম্যানার্স:
মিটিং চলাকালীন অন্যের কথার মাঝখানে কথা বলবেন না। কিছু বলার হলে যিনি কথা বলছেন, তাঁর কথা শেষ করতে দিন। মিটিংয়ের মাঝে উঠে যাবেন না।
টয়লেট ম্যানার্স:
অফিসে টয়লেট ম্যানার্স মেনে চলুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।