নিউজ ডেস্ক:করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে দর্শনার জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে নতুন করে কোনো বাংলাদেশি যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। একইভাবে গতকাল শনিবার সকালের পর ২০ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও বিকেল পাঁচটার পরে নতুন করে কোনো ভারতীয় যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। কারণ বিকেল পাঁচটা থেকে দুই দেশের সীমান্তপথে যাওয়া ও আসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দর্শনার জয়নগর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম রাশেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্র্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারী-পুরুষ-শিশুসহ ১১৮জন ভারতীয় বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরেছে। এ ছাড়া ভারতে অবস্থানরত ৭৩৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
এদিকে, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, দর্শনা চেকপোস্টে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ ও সচেতনতায় কাজ করছে ১৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত মেডিকেল টিম ভারত থেকে যারা এদেশে আসছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। সম্প্রতি চীন ও পাশ^বর্তী দেশ ভারতে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এ বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দর্শনা চেকপোস্টে হ্যান্ড স্ক্যানার দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি থার্মাল স্ক্যানার দিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দর্শনা চেকপোস্ট এলাকায় তা বসানো হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, একটি প্রজ্ঞাপনের আলোকে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনকে জানানো হয় ১৪ মার্চ বিকালের পর থেকে নতুন কোনো পাসপোর্টধারী দেশে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে যেসব বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে আছে তারা ইচ্ছা করলে বেরিয়ে যেতে পারবে। আবার ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী যারা বাংলাদেশে আছে তারা ফিরে এলে তাদেরকেও গ্রহণ করা হবে। শুধুমাত্র জাতিসঙ্ঘ, কূটনৈতিক, অফিসিয়াল, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও হাইকমিশনারের বিশেষ সুপারিশ থাকলে সেসব যাত্রী দু’দেশের মধ্যে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।