নিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপে স্থবির হয়ে আছে সবকিছু। এ কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অসহায়, দুস্থ ও দিনমজুররা। তাদের সাহায্যার্থে স্বতন্ত্র ধারার সিনেমা নির্মাতারা ‘ফিল্ম ফর হিউম্যানিটি’ শিরোনামের একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে অনলাইনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হবে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, উদ্যোগটিতে যুক্ত হয়েছেন ভিনদেশি নির্মাতারা। তাদের সঙ্গী হিসেবে থাকছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিদ্যানন্দ’।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের নির্মাতাদের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থাকবে উৎসবে। এগুলোর প্রদর্শনী হবে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ভিমিয়োতে। সেখানে অন-ডিমান্ড-রেন্টাল সিস্টেমে দর্শকরা পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকে চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পারবেন। আগামী ১ মে প্রদর্শনী শুরু হয়ে চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
উৎসব থেকে প্রাপ্ত অর্থের পুরোটাই দেওয়া হবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে। তাদের মাধ্যমে অসহায় মানুষ ও প্রাণীদের কাছে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে যাবে।
আয়োজকদের অন্যতম জসিম আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের দুঃসময়ে আমাদেরও কিছু করার তাগিদ তৈরি হয়। অনেকেই এগিয়ে আসছে, আমরা নির্মাতারাও যদি নিজেদের জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে পারি তাহলে কিছুটা হলেও মানুষের উপকার হতে পারে। এই চিন্তা থেকেই এগিয়ে আসা। ফিল্ম নিয়ে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
প্রত্যেক নির্মাতাকে ভিমিয়ো থেকে প্রাপ্ত অর্থের পুরো হিসাব এবং সেই অর্থ কোথায় বা কোন প্রক্রিয়ায় অসহায় মানুষ ও প্রাণীদের দেওয়া হচ্ছে, সেসব তথ্যের অফিসিয়াল ডকুমেন্টস ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ইভেন্ট গ্রুপে প্রকাশ করা হবে।
ইতোমধ্যে প্রদর্শনীর জন্য দেশের আলোচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও নবীন নির্মাতাসহ দেশ-বিদেশের প্রায় ২৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। শিগগিরই আরও কিছু পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলচ্চিত্র সংগ্রহ চলবে আগামী ১০ মে পর্যন্ত।
জানা গেছে, উৎসবের শেষ দিন নির্মাতাদের কাছ থেকে পাওয়া ছবি ভিমিয়ো এবং আয়োজকদের কাছে স্থায়ীভাবে মুছে দেওয়া হবে।