দামুড়হুদায় দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে সন্দেহ : ৫ বছরের শিশু সন্তানসহ
নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের নিজ স্ত্রী, কন্যা ও পাঁচ বছরের শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখম করেছে এক পাষ- পিতা। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিলনকে আটক করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে গোবিন্দহুদা গ্রামের ক্লাব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের ক্লাব পাড়ার মিলনের স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন (৩২), তার মেয়ে নুপুর (১৪) ও শিশু হুজাইফা (৫)।
জানা গেছে, গোবিন্দহুদা গ্রামের ক্লাবপাড়ার সাহার আলি ছেলে মিলন তার স্ত্রী মুর্শিদা খাতুনের সাথে কারো অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতো। এই নিয়ে প্রতিনিয়ত তারই স্ত্রী মুর্শিদা খাতুনকে মারধর করতো। গতকাল এ বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে মুর্শিদা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে স্বামী মিলন। এ সময় পাশে থাকা তার কিশোরী মেয়ে নুপুর ও শিশু হুজাইফাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তারা চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এলাকাবাসীর কেউ কেউ বলেন, মিলন দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত মানসিক রোগে ভুগছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তার এই রোগটা বেড়ে গেছে। তবে অনেকে জানান, মিলন পাগল নয় ওর ভন্ডামি এটা।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, মিলন তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতো। এ বিষয় নিয়ে গতকাল তার স্ত্রী মেয়ে ও তার শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমরা ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মিলনকে গতকাল সন্ধ্যায় আটক করেছি। তবে এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনজনেরই মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত তিনজনকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গার ত্যাগ করেছেন আহতদের পরিবারের সদস্যরা।