মো: মাসুদ রান (কচুয়া)
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ। চেয়ারম্যানগন অনুপস্থিত থাকায় নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে করে নতুন আবারও নাগরিক সেবায় ফিরেছেন ইউনিয়ন পরিষদ গুলো। অপরদিকে সাচারা ইউনিয়ন, বিতারা ইউনিয়ন, পালাখাল মডেল ইউনিয়ন ও কচুয়া সদর দক্ষিন ও গোহট উত্তর ইউনিয়ন পরিষদে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমানে ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নিয়মিত সেবা সেবা নাগরিকরা।
এদিকে পালাখাল মডেল ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা পেয়ে খুশি নাগরিক সনদ নিতে আসা নাগরিকরা। সরকার পতনের পর সেবা বঞ্চিত ছিল অনেকে। বর্তমানে নতুন করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ায় সেবা পাচ্ছেন ওই ইউনিয়নের নাগরিকগন। পাশাপাশি পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দুই তরুন উদ্যোক্তা ফয়সাল আহমেদ ও ফয়সার মাহমুদ নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় ইউনিয়নের প্রশাসক কামরুজ্জামান ও ইউপি সচিব মৃনাল কান্তি পোদ্দারের পরামর্শে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে তারা। দ্রুত সেবা দিচ্ছেন তারা। সেবা পেয়ে খুশি ওই ইউনিয়েনর নাগরিকগন।
নাগরিক সেবা নিতে আসা কয়েকজন জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নে কাজের জটিলতা দেখিয়ে অনেকে কাজ দেরিতে করে। কিন্তু পালাখাল মডেল ইউনিয়নে তথ্য প্রমান পেলে দ্রুত কাজ করেন তারা। অতিদ্রুত সেবা দেয়ায় আমরা খুশি। ভবিষ্যতেও যেন এমন সেবা সবসময় চালু থাকে এমনটাই দাবি করছি।
ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, নাগরিকদের সকল ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত। জন্ম সনদ সহ সকল সেবা এখন থেকে খুব সহজে পাওয়া যাবে।
পালাখাল মডেল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃনাল কান্তি পোদ্দার জানান, সংকটকালীন সময়েও আমরা অফিস করেছি। সাদ্যমত নাগরিক সেবা দিয়েছি। ইউপি সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। জনগনের নাগরিক সেবা প্রতিনিয়ত পাচ্ছেন। এভাবে প্রতিনিয়ত আমরা ইউনিয়ন নাগরিকের সকল সেবা দিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে পালাখাল মডেল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান জানান, আমাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জনগনকে নাগরিক সেবা দিতে পেরেছি। জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশ সনদসহ সকল প্রকার সেবা পাবেন নাগরিকরা। আশা রাখি ভবিষ্যতে সেবা প্রত্যাশিরা আর সেবা বঞ্চিত হবেনা।