নিউজ ডেস্ক:
বিদেশ থেকে আনা একটি কাচের গ্লাস ভাঙায় সাত বছর বয়সি এক গৃহকর্মীর গায়ে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিশু গৃহকর্মীর নাম ফাতেমা ওরফে দিপালী। তার বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায়।
অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীর নাম আয়শা বেগম। তার স্বামীর নাম খলিলুর রহমান। মিরপুর মডেল থানা এলাকার ২ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ২৩ নম্বর বাড়ির তিন তলায় তারা থাকেন। সেখানেই ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনে একটি মামলা (নং ১৪) দায়ের করা হয়েছে। গৃহকর্ত্রী আয়শা বেগমের বিরুদ্ধে ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২ মে একটি কাচের গ্লাস ভাঙায় তিনি শিশুটির গায়ে গরম পানি ঢেলে দেন। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই দিন ঢাকার সরকারি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান গৃহকর্ত্রী। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি তাকে বাসায় নিয়ে যান। পরে আবার সে অসুস্থ হলে পরের দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে নিয়ে আসেন। তবে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।
দিপালীর বাবা সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার মেয়ে নির্যাতনের শিকার হলেও তাকে জানানো হয়নি। লোক মারফত তিনি খবর পেয়ে শুক্রবার ঢাকায় এসে জানতে পারেন যে, তার মেয়ের গায়ে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করা হয়েছে। অথচ তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ছোট মেয়ে কোনো অপরাধ করতে পারে। এ জন্য এত বড় শাস্তি ? এর বিচার চেয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেছেন বলে জানান তিনি। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটিকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎস পার্থ শংকর পাল জানান, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে তার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা দরকার।