নিউজ ডেস্ক:
নতুন পাঁচ প্রকল্পসহ মোট সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) কাছে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে ঢাকা সফররত এআইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ডি জে পান্ডিয়ানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় এ ঋণ সহায়তা চাওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে তিনটি বিদ্যুৎ খাতের, তিনটি রেলওয়ের এবং একটি সড়কের। এসব প্রকল্প যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
এআইআইবির অর্থায়নে ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম আপগ্রেড অ্যান্ড এক্সপানশন’ এবং ‘ন্যাচারাল গ্যাস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুফমেন্ট’ নামে দুটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে, জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দুইটাই জ্বালানিতে; সেখানে বৈচিত্র দরকার। সংস্থাটির কাছে আমরা নতুন তালিকা দিয়েছি।
নতুন প্রস্তাবিত সাত প্রকল্পের তিনটি রেলওয়ের জন্য ক্রয় প্রস্তাব, জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চারটি প্রকল্পের মধ্যে একটি গজারিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। বাকি তিনটি হচ্ছে, ‘আপগ্রেডেশন অব পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ইন ওয়েস্ট জোন’, এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং পাওয়ার সিস্টেম ইন চিটাগাং এরিয়া’ এবং ‘কনস্ট্রাকশন অব এ ব্রিজ ইন বরিশাল দুমকি রোড’।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেদিকে আমরা এখনো দৃষ্টি দেইনি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে চলতি মাসে চীন সফরে যাচ্ছেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে যে প্রকল্প বা অর্থায়নের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, সেটার সঙ্গে এই বিনিয়োগের কোনো সম্পর্ক নাই। সেটা দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঠিক করব।
বাংলাদেশ এআইআইবির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ, মন্তব্য করে ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডি জে পান্ডিয়ান বলেন, এআইআইবির প্রথম প্রকল্পটি ছিল বাংলাদেশের। এটা থেকেই গুরুত্ব বোঝা যায়। এআইআইবির কাছে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অবকাঠামো উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাও অনেক। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো। ১০ বছরেরও বেশি সময় দেশটি ৬-৭ শতাংশ করে তা ধরেও রেখেছে।
চীনের নেতৃত্বাধীন এআইআইবির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় গত বছরের জানুয়ারিতে। এআইআইবি গঠন করা হয় মূলত অবকাঠামো খাতে ঋণ দেওয়ার জন্য। ১০ হাজার কোটি ডলারের পরিশোধিত মূলধনের এক-তৃতীয়াংশই চীনের। বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
এর আগে গত বছর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ অনুমোদন করে এআইআইবি পর্ষদ। এটা ছিল সংস্থাটির পর্ষদে প্রথম কোনো ঋণ অনুমোদন। ওই ঋণের অর্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হবে।