হামলা-ভাঙচুর : বিএনপির অভিযোগ, কিছুই জানে না পুলিশ
নিউজ ডেস্ক: বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে চলছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। সারাক্ষণ বিভিন্নস্থান থেকে নির্বাচনী অফিসে হামলা ভাঙচুরের খবর আসছে গণমাধ্যমের কাছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ তেমন কিছুই জানে না বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কথায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোট ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব মাহমুদ হাসান খান বাবুর দামুড়হুদা উপজেলার প্রধান নির্বাচনী অফিস, জীবননগরে প্রচার গাড়ীতে হামলা চালিয়ে মাইক ভাঙচুরসহ ২০টিরও বেশি নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত এমনি সংবাদ পাওয়া গেছে। দামুড়হুদা: গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দামুড়হুদা চৌরাস্তার মোড়ে বিএনপি প্রার্থী বাবু খানের ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী অফিসে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তারা হেলমেট পরে হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
নির্বাচনী অফিসে থাকা একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর, বিপুল পরিমাণ পোস্টার ও ব্যানার ছিড়ে ফেলে তারা।এছাড়াও একই উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা, কুড়–লগাছি, বড়বলদিয়া, পারকৃষ্ণপুর, বুইচিতলা, নতিপোতা, হাতিভাঙ্গা ও মোক্তারপুরে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। লক্ষিপুরের একটি নির্বাচনী অফিসে বোমা হামলা চালিনো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া দর্শনা বাসস্ট্যান্ড, শ্যামপুর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর, হল্টচাঁদপুর এলাকার সড়কের উপরে ও আশেপাশে থাকা ২০/৩০টি ব্যানার এবং পোস্টার ছিড়ে বিনষ্ট করেছে কে বা কারা। এক অভিযোগে হামলা-ভাঙচুরের এ ঘটনার কথা জানিয়েছেন দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। এ প্রসঙ্গে দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দামুড়হুদা চৌরাস্তার মোড়ে একটি নির্বাচনী অফিসে হামলা ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে অফিসের সামনে ৪/৫টি ভাঙা চেয়ার দেখতে পায়, তারপাশে একটি মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড করা ছিল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আমরা হামলার কোন সত্যতা পাইনি। এছাড়া আর কোথাও কোন হামলা ভাঙচুরের খবর নেই আমার কাছে। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগও করেনি।’জীবননগর: জীবননগরে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা সিএনজিতে হামলা চালিয়ে প্রচার মাইক ভাঙচুর করার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সিএনজি চালক জানান, রাতে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার নিয়ে পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের ভেতর থেকে মুক্তিযোদ্ধা রোড হয়ে ইসলামী ব্যাংকের সামনে পৌছুলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী আমার গাড়ি থামিয়ে মাইক ভাঙচুর করে এবং বিএনপি প্রার্থীর ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার করতে বাধা দেয়। জীবননগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু অভিযোগ করে বলেন, ‘আ.লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে আগুন ধরিয়ে মোটরসাইকেল, টিভি, আসবাবপত্রসহ পৌর সভার ৪টি নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। আবার শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার করার সময় মাইক ভাঙচুর করেছে। এ বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার উথলী বাজার ও ধোপাখালীতে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজার উপর হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। এমন ঘটনা ঘটলে অবশ্যই জানতে পারতাম। ইউপি সদস্যের উপর হামলার ঘটনাটিও আমাদের জানা নেই।’