নিউজ ডেস্ক:
ইসরাইলী সৈন্যদের গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনী নারী চিকিৎসাকর্মীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এদিকে ইসরাইলী বিমান থেকে গাজায় হামাসের ১০টি অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিন থেকে ছোঁড়া রকেট হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়। এর মাধ্যমে কয়েকদিন আগে করা অস্ত্রবিরতি ভেঙ্গে গেছে। ২০১৪ সালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরে এখনকার পরিস্থিতিই সবচেয়ে ভয়াবহ।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে সহিংসতার সময় ইসরাইলী সৈন্যদের গুলিতে এক তরুণী স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসাকর্মী নিহত হন। তার জানাজা ও দাফনে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। এর কয়েক ঘন্টা পর উভয়পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।
ইসরাইলী সেনাবাহিনী রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইসরাইলের জঙ্গি বিমান গাজা ভূখন্ডে হামাসের তিনটি সামরিক কম্পাউন্ড লক্ষ্য করে ১০টি হামলা চালিয়েছে।’
‘হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে হামাসের অস্ত্র কারখানা ও গুদাম এবং একটি সামরিক কম্পাউন্ড ছিল।’
গাজায় এই হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনী ভূখন্ড থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি রকেট ছোঁড়া হয়। ইসরাইলের আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি রকেট প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু অপরটি গাজার অভ্যন্তরেই পড়ে।
রোববার ভোরে ইসরাইলে আরো দুটি রকেট ছোঁড়া হয়।
গাজার কোন গোষ্ঠী বা সংগঠন এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
শুক্রবার খান ইউনিসের কাছে চিকিৎসা কর্মী রাজান আল-নাজ্জারের (২১) বুকে গুলি লাগলে তিনি নিহত হন। শনিবার রাজানের দাফনের পর পরই ইসলাইলে ওই রকেট হামলা চালানো হয়।