নিউজ ডেস্ক:
আসাম রাজ্যে বিষাক্ত মদপানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরো ৩৫০ জন। খবর এনডিটিভির।শনিবার বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হতাহতরা সবাই চা-বাগানের দরিদ্র শ্রমিক। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
রাজ্য বিধানসভার স্থানীয় বিধায়ক মৃণাল শইকিয়া সংবাদ সংস্থা থমসন রয়টার্সকে বলেন, ‘বেশ কিছু শ্রমিক ওই বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন। খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’রাজ্য পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পার্থ প্রতিম সাইকিয়ার বরাত দিয়ে দিল্লিভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল নিউজএইটটিন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাটের শালমিরা চা বাগানে মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে একে একে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বাস শর্মা বলেন, ‘প্রতি ১০ মিনিট পর পর বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা এ বিষয়ে খবর পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত অনেক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।’শালমিরা চা-বাগানের কাছেই জুগিবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে তৈরি দেশি মদ কারখানার মালিকসহ ৭ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় গ্লাসপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকায় অবৈধ দেশি মদ পাওয়া যায়।আসামের প্রো এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টের এস পান্ডের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, বিষাক্ত মদ পান করে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি দেওয়া হবে।এর আগেও বিষাক্ত মদ পান করে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে নিহত হয়েছিলেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ। তার দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের আসাম রাজ্যে ঘটল এ ঘটনা।