স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ পশ্চিমাঞ্চলের আলোচিত ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সেই মিন্টু ফের মিন্টু ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। মিন্টু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের জীবনা গ্রামের সানোয়ার ওরফে বড়লোক মনার মিয়ার ছেলে। ১৬ই নভেম্বর সোমবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের ভেটরিনারি কলেজের সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সেলিম তাকে আটক করেন। তার শরীর তল্লাসী করে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিপুর্বে মিন্টু দশমাইল গরুহাটের একটি হোটেল থেকে গাঁজাসহ ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর হাতে আটক হয়। কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো সে এলাকায় ব্যাপকভাবে মাদক ব্যবসা শুরু করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিক বার আটক ও রহস্যজনক ভাবে ছাড়া পেয়ে পূর্বের পেশায় ফিরে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগ, আলোচিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মিন্টু দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
জীবনা গ্রামের নিভৃত বিলের ধারে রয়েছে তার একটি বিশাল বাগানবাড়ি। সেখানে নিয়মিত মাদকের আড্ডা চলতো। চলতো নাচ গান ও অসামাজিক কার্যকলাপ। জীবনা বিলের ধারে রয়েছে তার অসাাজিক কার্যকলাপের প্রধান ডেরা। বাইরে থেকে নারী নিয়ে এসে সেখানে ফুর্তি মারা হতো মর্মে তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া চুয়াডাঙ্গার জীবনা, দশমাইল, সদরের বংকিরা, গোবিন্দপুর, হাজরা ও চোরকোল গ্রামে মাদক বিক্রি করে যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে এই মিন্টু। তার অত্যাচারে এলাকাবাসি ছিল ব্যাপক অতিষ্ঠ। ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সেলিম জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে আমরা হলিধানী ইউনিয়নের ভেটরিনারি কলেজের সামনে চেকপোষ্ট বসিয়ে তাকে আটক করতে সমর্থ হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে সদর থানায় মামলা করা হবে। এদিকে মিন্টুর গ্রেফতারের খবর ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে আপামর জনতার মধ্যে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে মর্মে সাংবাদিকদের নিকট জানিয়েছে এলাকাবাসি।